এই দিন সন্তান ও পরিবারের মঙ্গল কামনায় ব্রত পাঠ করার আগে পড়ে কিছু টোটকা খুবই উপযপুক্ত। বলা হচ্ছে, এই দিনে কাউকে চিনি দান করবেন না। আরও কিছু টোটকা জেনে নিন চটজলদি।
1/5 শাস্ত্র বলে, বিপদ যিনি হরণ করেন, তিনিই মা বিপত্তারিণী। সেই দেবীর আরাধনা শহরের মন্দির থেকে গ্রাম,মফস্বলের পাড়ায়। তবে অম্বুবাচী চলছে বলে বহু মন্দির রয়েছে বন্ধ। দেবী কালীরই অন্য রূপ হলেন মা বিপত্তারিণী। রথযাত্রার পর উল্টো রথের আগে, এই দেবীর আরাধনা করা হয়। আষাঢ় মাসের শনি ও মঙ্গলবার এই পুজো করা হয়।
2/5 ২০২৩ সালের বিপত্তারিণী পুজো পড়েছে ২৪ ও ২৭ জুন। মা বিপত্তারিণীর কথায় বারবার উঠে এসেছে দুই বংশের নাম। ব্রতকথা বলে, বদর্ভরাজ সত্যদাস ও তাঁর পুত্র অলোকেশের কাহিনি। অলোকেশ, একবার শিকারে বেরিয়ে সীমানা পেরিয়ে পাশের রাজ্য অবন্তীপুরে চলে যান। অবন্তীরাজ্যের অধীনে থাকা জমিতে হরিণ শিকারের দায়ে সেরাজ্যের সেনারা তাঁদের পাকড়াও করেন।
3/5 এরপর চটজলদি সত্যদাস পৌঁছলেন অবন্তীরাজ চক্রধরের দরবারে। সেখানে সত্যদাসকেও বন্দি করা হল। এরপরউ বিদর্ভরাজ্যের রানি রত্না বসলেন বিপত্তারিণী পুজোয়। পরে সেই রাতেই অবন্তীরাজ স্বপ্ন পেলেন বিপত্তারিণী দেবীর। স্বপ্নাদেশ হল সত্যদাস ও অলোকেশকে ছেড়ে দেওয়ার। পরদিনই সত্যদাস ও অলোকেশ মুক্তি পেলেন। এই কথাই বর্ণিত রয়েছে বিপত্তারিণীর পুজোয়।
4/5 টোটকা- অনেকেই বলেন, বিপত্তারিণী হলেন দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের অন্যতম। এই দিন সন্তান ও পরিবারের মঙ্গল কামনায় ব্রত পাঠ করার আগে পড়ে কিছু টোটকা খুবই উপযপুক্ত। বলা হচ্ছে, এই দিনে কাউকে চিনি দান করবেন না। যতটা সম্ভব লালবস্ত্র পরুন। পুজোর নিয়মে ভুল থাকলে, বাড়িতে আর্থিক সংকট হানা দিতে পারে বলেও মত শাস্ত্রজ্ঞদের।
5/5 বিপত্তারিণী পুজোর টোটকা- এই দিনে দেবীকে যা কিছুই অর্পণ করবেন তা ১৩ টি করে অর্পণ করবেন। ১৩ টি লুচি, ১৩ টি ফল, এভাবে অর্পণ করুন। ১৩ টি ডুর্বা ও ১৩ টি গিঁট দেয়া লাল সুতো বা ডুলি মেয়েদের বাম হাতে ও ছেলেদের ডান হাতে পরিয়ে দিন। (এই প্রতিবেদনের তথ্য মান্যতা নির্ভর।)