মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা, তার পরই শুরু শ্রাবণ মাস। আগামী ১৮ জুলাই থেকে শিবের প্রিয় মাস শুরু হতে চলেছে। এ সময় সকলেই শিবকে তুষ্ট করে তাঁর আশীর্বাদ লাভের জন্য শিবের উপাসনা করে থাকেন। পুজো ও উপবাস ছাড়াও আর একটি উপায় শিবকে প্রসন্ন করতে পারেন। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিনে বিশেষ কিছু জিনিস বাড়িতে আনলে ভোলানাথকে সন্তুষ্ট করা যায়।
রুদ্রাক্ষ- মনে করা হয়, শিব সাক্ষাৎ এই রুদ্রাক্ষে বাস করেন। শাস্ত্র মতে শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন বাড়িতে রুদ্রাক্ষ নিয়ে এলে সুখ, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি লাভ করা যায় এবং সমস্ত সমস্যা দূর হয়। ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত শুভ এই রুদ্রাক্ষ।
গঙ্গাজল ভরতি পাত্র- গঙ্গাজল শিবের অত্যন্ত প্রিয়। তাই গঙ্গাজল দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করলে মহাদেব প্রসন্ন হন। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন গঙ্গাজল এনে বাড়িতে রাখলে এবং গঙ্গাজল মিশ্রিত জল দিয়ে শিবের অভিষেক করলে মহাদেবের আশীর্বাদ লাভ করা যায়। এর প্রভাবে কখনও অর্থাভাব দেখা দেবে না।
রুপোর বেল পাতা- শিব পুজোয় বেলপাতার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শিবকে বেলপাতা অর্পণ করলে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়। তবে অনেক স্থানে বেলপাতা পাওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে রুপো বা পিতলের বেলপাতা বানিয়ে বাড়িতে আনুন এবং তা দিয়ে শিবের পুজো করলে শুভ ফল লাভ করা যায়।
পারদের শিবলিঙ্গ- শিবের সঙ্গে পারদের সরাসরি সম্পর্ক মনে করা হয়। তাই শ্রাবণ মাসে পারদের শিবলিঙ্গ বাড়ি এনে নিয়মিত এর পুজো করার কথা বলা হয়। এই শিবলিঙ্গের অভিষেক করলে সমস্ত দোষ দূর হয়। কথিত আছে, যাঁরা পারদের শিবলিঙ্গের পুজো করেন, স্বয়ং মহাকাল তাঁদের রক্ষা করেন। এর ফলে পরিবারে সুখ-শান্তি বৃদ্ধি পায়। আরোগ্য লাভ সম্ভব হয়। এমনকি অর্থ বৃদ্ধিও হয়।
ভস্ম- ভস্ম শিবের অত্যন্ত প্রিয়। মনে করা শ্রাবণ মাসের যে কোনও দিনে শিব মন্দির থেকে ভস্ম এনে তা শিব পুজোয় ব্যবহার করলে ও অবশিষ্ট ভস্ম বাড়ির লকারে রাখলে ব্যক্তির ওপর মহাদেবের আশীর্বাদ থাকে। সন্তুষ্ট হয়ে জাতকের সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর করেন মহাদেব।