মৌনী অমাবস্যা ঘিরে বহু মত প্রচলিত রয়েছে। জ্যোতিষমতে বলা হচ্ছে, ২০২২ সালের মঙ্গলবারের এই অমাবস্যায় কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করলেই কেটে যেতে পারে ভাগ্যে থাকা সমূহ বিপদ। এমন দিনে বিশেষ কিছু রীতি পালন করলেই কালসর্প দোষ কেটে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এমনকি সৌভাগ্য বৃদ্ধিতেও মৌনী অমাবস্যা বেশ কার্যকরী। দাবি বহু জ্যোতিষশাস্ত্রবিদের। এমন দিনে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করে কিছু দান করলে তা সৌভাগ্যকে বাড়িয়ে দেয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, মৌনী অমাবস্যার দিন কী কী পন্থা অবলম্বন করলে কেটে যেতে পারে নানান বিপদ।
১) কথিত রয়েছে মৌনী অমাবস্যার দিন কিছু দান করলে বাড়ে সৌভাগ্য। উল্লেখ্য, ৩১ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছে মৌনী অমাবস্যার তিথি। আর সেই তিথির মাঝেই এদিন বেলা ১১: ১৫ মিনিটে ছিল দান করার উপযুক্ত সময়।
২)আজকের দিনে মৌন ব্রত গ্রহণ করলে তা সুফল দিয়ে থাকে। সেই কারণে জ্যোতিষবিদরা বলেন, মৌনী অমাবস্যার দিন স্নান করে সূর্যকে প্রণাম করে মৌনব্রত ধারণ করলে ইচ্ছা পূরণ হতে পারে।
৩) গরুর পূরাণ অনুযায়ী, যদি মৌনী অমাবস্যার দিন যৌন সঙ্গম থেকে নিজেরে দূরে রাখা যায়, তাহলে তা ব্যক্তির জীবনে সুসময় নিয়ে আসে।
৪) এমন দিনে মনোমালিন্য, ঝগড়া বিবাদ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন জ্যোতিষবিদরা।
৫) কালসর্প দোষ কাটানোর পক্ষে এই মৌনী অমাবস্যা একটি বড় তিথি। মৌনী অমাবস্যার দিন রুপোর সাপ বা সাপের পুজো করলে কালসর্প দোষ কেটে যায় বলে দাবি বহু শাস্ত্রজ্ঞের।
৬) এমন দিনে শিবের পুজো করার আগে কোনও নদীতে স্নান করে পুজো দিলে কেটে যেতে পারে কালসর্পের প্রভাব।
৭) মৌনী অমাবস্যার রাতে বাড়ির উত্তর পূর্ব দিকে, ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে তা সুফল দেয়। প্রদীপ দেওয়ার সময় , তাতে জাফরান পাতা, ও লাল সুতো রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন জ্যোতিষবিদরা।
৮) এমন দিনে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করলেও কাল সর্প দোষ কেটে যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
৯) উল্লেখ্য, এই বিশেষ অমাবস্যা মাঘী বা মৌনী অমাবস্যা নামে প্রসিদ্ধ। এমন অমাবস্যার তিথিতে তিল জাতীয় কিছু দান করলে মেলে সুফল। এক্ষেত্রে তিলের নাড়ু, আমলকি, কাপড় দান করলে সুফল পাওয়া যায়।
১০)মৌনী অমাবস্যার দিন পিতৃতর্পণ করলে পূর্ব পুরুষের আশির্বাদ মেলে। বলা হয়, এই আশির্বাদেই ফেরে ভাগ্য। এমন তিথিতে মহিলারা অশ্বত্থগাছকে বিষ্ণু রূপে পুজো করেন। তবে অশ্বত্থ গাছকে না ছুঁয়ে এই পুজো করার পরামর্শ দিচ্ছেন বহু শাস্ত্রজ্ঞ।