ব্যক্তির চোখ, কান, হাত অথবা পা এমনকী শরীরের বিভিন্ন অংশের তিল দেখে তাঁদের স্বভাব ও আচরণ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। এ সম্পর্কে এখন অনেকেরই ধারণা হয়েছে। সামুদ্রিক শাস্ত্রই ব্যক্তির শারীরিক গঠন, আকৃতি দেখে তাঁদের সম্পর্কে ত্রান অর্জনের সাহায্য করে। এছাড়াও এই শাস্ত্র আবার ব্যক্তির ওঠা-বসার ধরণ-ধারণ দেখে তাঁদের স্বভাবের নানা দিক প্রকাশ করে। এ সম্পর্কে কী বলছে সামুদ্রিক শাস্ত্র জেনে নিন—
১. পায়ের মাঝে সমান দূরত্ব
সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী, যে জাতকরা নিজের পায়ের মাঝে সমান দূরত্ব রেখে বসেন, তাঁরা অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের হন। নিজের কাজের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতে ভালোবাসেন না এই জাতকরা।
২. হাঁটু লাগিয়ে বসলে
যে জাতক নিজের দুই পায়ের হাঁটু পরস্পরের সঙ্গে লাগিয়ে ও পায়ের মাঝে দূরত্ব রেখে বসেন, তাঁরা মুখে মুখে কথা বলে দেন। সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী নিজের কথা দিয়ে অন্যকে আকৃষ্ট করতে পারেন এঁরা। আবার এ ভাবে যাঁরা বসেন, তাঁরা অত্যন্ত সৃজনশীল হন।
৩. পায়ের ওপর পা তুলে বসা
সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী যে জাতক পায়ের ওপর পা তুলে বসতে অভ্যস্ত তাঁকা অত্যন্ত সৃজনশীল হন। নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ করতে ভালোবাসেন এঁরা। নতুন স্থানে যাওয়া ও নতুন ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে ভালোবাসেন এঁরা।
৪. পায়ের আঙুল কাছাকাছি রেখে যাঁরা বসেন
পায়ের আঙুল কাছাকাছি রেখে ও হাঁটু খুলে যে জাতক বসেন, তাঁরা নিজের জীবনে সমস্ত কিছু ব্যবস্থিত চান। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন হন এঁরা।
৫. পা বাঁকিয়ে বসেন যাঁরা
সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী যে জাতক পা পরস্পরের সঙ্গে লাগিয়ে ও বাঁকিয়ে বসেন, তাঁরা অত্যন্ত জেদি হন। যে কোনও কথায় খুব শীঘ্র আহত হন এঁরা। নিজের স্বপ্ন সম্পর্কে উচ্চাকাঙ্খা পোষণ করেন। নিজের ইচ্ছাপূরণের লক্ষ্যে অটল থাকেন এঁরা।
ঁরা।