আজ ৮ অগস্ট রবিবার হরিয়ালী অমাবস্যা বা শ্রাবণ অমাবস্যা। শ্রাবণ মাসের অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটি আবার পিতৃকার্য়েষু অমাবস্যা হিসেবেও পালিত হয়। কালসর্প যোগ, শনির সাড়েসাতি বা আড়াইয়ের প্রকোপ-সহ নানান বাধা থেকে মুক্তি লাভের জন্য এটি একটি দুর্লভ সময়। চলতি বছর হরিয়ালী অমাবস্যায় দুর্লভ যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। পুষ্য নক্ষত্র, চন্দ্রের সঙ্গে সূর্য কর্কট রাশিতে বিরাজ করে দুর্লভ যোগ সৃষ্টি করেছে। রবিপুষ্য যোগে হরিয়ালী অমাবস্যা, সোমবার বা বৃহস্পতিবার পুনর্বসু, পুষ্য নক্ষত্র হলে অমৃত বা সর্বার্থসিদ্ধি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পুষ্য নক্ষত্র নক্ষত্রের রাজা। শাস্ত্রীয় গণনা অনুযায়ী অমাবস্যা তিথির অধিপতি পিতৃদেব ও চন্দ্র নিজের রাশি কর্কটে থাকবে।
হরিয়ালী অমাবস্যায় কী করবেন
এদিন কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করে, সেখানে পিণ্ডদান, তর্পণ, শ্রাদ্ধকর্ম করালে পিতৃপুরুষরা শান্তি লাভ করবেন। এর পর দরিদ্রদের ভোজন করান ও বস্ত্র দিন। গোরুরে ঘাস খাওয়ানো উচিত এদিন।
অমাবস্যার দিনে অশ্বত্থ গাছের পুজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এদিন বেলা ১২টার আগে অশ্বত্থ গাছের ২১টি পরিক্রমা করে জল অর্পণ করুন। অশ্বত্থ গাছের পুজো করে ২১ ফেরা মৌলী সুতো বাঁধা উচিত। সন্ধেবেলা সূর্যাস্তের পর অশ্বত্থ গাছের তলায় পাঁচটি আটার প্রদীপ বানিয়ে প্রজ্জ্বলিত করুন। এর ফলে আর্থিক সমস্যার সমাধান হবে। তবে সূর্যাস্তের পরে ভুলেও এই কাজ করবেন না।
অমাবস্যার দিনে দিব্যাঙ্গদের ভোজন করান ও তাঁদের মধ্যে বস্ত্র বিতড়ণ করুন। এর ফলে জীবনের নানান সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। হরিয়ালী অমাবস্যার রাতে দীপদানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এদিন পুকুর, নদীতে দীপদান করা উচিত। এর ফলে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শ্রাবণ অমাবস্যায় প্রকৃতি দেবীর আরাধনার পর্ব। মনে করা হয় বৃক্ষে দেব-দেবীর বাস। তাই এদিন বৃক্ষ রোপণ শুভ।
বিশেষ কামনা পূরণের উপায়
- হরিয়ালী অমাবস্যার দিনে লক্ষ্মী লাভের জন্য তুলসী, অমলকি, বিল্বপত্রের গাছ লাগানো উচিত।
- আরোগ্য লাভের জন্য ব্রাহ্মী, পলাশ, অর্জুন, আমলকি, সূর্যমুখী বা তুলসী লাগান।
- সৌভাগ্য লাভের জন্য অশোক, অর্জুন, নারকেল, বট গাছ লাগান।
- সন্তান লাভের জন্য অশ্বত্থ, নীম, বিল্ব, নাগকেশর, জবা, অশ্বগন্ধা গাছ লাগানো উচিত।
- মেধা বৃদ্ধির জন্য শঙ্খপুষ্পী, পলাশ, ব্রাহ্মী, তুলসী গাছ লাগানো উচিত।
- সুখ লাভের জন্য নীম, কদম্ব, ঘন ছায়াদেয় এমন গাছ লাগানো উচিত।
- আনন্দ লাভের উদ্দেশে পারিজাত, রাতরানী, বেল, গোলাপ গাছ লাগানো উচিত।