বাংলা নিউজ >
ভাগ্যলিপি > Ulto Rathyatra History: উল্টোরথের ইতিহাস ও মাহাত্ম্যে কোন রাজার কাহিনি উঠে আসে? রথযাত্রা ঘিরে কোন ঘটনা কথিত রয়েছে
Ulto Rathyatra History: উল্টোরথের ইতিহাস ও মাহাত্ম্যে কোন রাজার কাহিনি উঠে আসে? রথযাত্রা ঘিরে কোন ঘটনা কথিত রয়েছে Updated: 28 Jun 2023, 02:08 PM IST Sritama Mitra পুরীর রথযাত্রা মূলত গুন্ডিচা যাত্রা বা গুন্ডিচা মন্দির যাত্রা নামে পরিচিত। এই যাত্রায় জগন্নাথদেব রওনা হন তাঁর মাসির বাড়ি। সেখানে থাকার সময় পালিত আটবেশ। আট দিন ধরে মাসির বাড়িতে থাকেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। 1/5 প্রতি বছর আষাঢ় মাসের দ্বিতীয়ায় শুক্লপক্ষে এই রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নিয়ে এই রথযাত্রা হিন্দু শাস্ত্রীয় বিধি মেনে ধুমধাম সহকারে আয়োজিত হয়। পুরীতে এই রথযাত্রা ঘিরে মহাসমারোহ দেখা যায়। তবে এই রথযাত্রা ও উল্টোরথ ঘিরে জগন্নাথধাম পুরীতে রয়েছে বেশ কিছু কাহিনি। দেখে নেওয়া যাক, সেই কাহিনির অংশ ও রথযাত্রা, উল্টোরথের মাহাত্ম্য। 2/5 পুরীর রথযাত্রা মূলত গুন্ডিচা যাত্রা বা গুন্ডিচা মন্দির যাত্রা নামে পরিচিত। এই যাত্রায় জগন্নাথদেব রওনা হন তাঁর মাসির বাড়ি। সেখানে থাকার সময় পালিত আটবেশ। আট দিন ধরে মাসির বাড়িতে থাকেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। ৯ দিনের মাথায় দশমী তিথিতে তাঁরা গুন্ডিচা মন্দির থেকে ফেরেন, যা উল্টোরথ নামে পরিচিত। পুরীতে এটি বহুড়া যাত্রা নামে পরিচিত। আর এরপর বিভিন্ন রীতি মেনে সম্পন্ন হয় পুরীর রথযাত্রা। জগন্নাথ চড়েন নন্দীঘোষ রথে, বলরাম চড়েন তালধ্বজে, সুভদ্রা চড়েন দর্পদলন রথে। এর নেপথ্য কাহিনি দেখা যাক।
3/5 কথিত রয়েছে, মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্নর আমলে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি তৈরি হয়। সেই সময়েই রথযাত্রাও চালু হয়। আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, রথযাত্রার ইতিহাস আলাদা। ১০৭৮ সালে তৈরি হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ১১৭৪ সালে মেরামতি করানোর হয়। তার পরেই নাকি তা বর্তমান জগন্নাথ মন্দিরের চেহারা নেয়। তখন শুরু হয় রথযাত্রা। 4/5 কথিত রয়েছে, সত্যযুগে রাজা ইন্দ্রদ্যুন্মের স্ত্রী গুন্ডিচা আশীর্বাদ পেয়েছিলেন তাঁর কাছে শ্রীকৃষ্ণকে কিছুদিন রাখার। সেই তথ্য মেনেও এই রথযাত্রার শুরু বলে জানা যায়। এদিকে, কপিলা সংহিতা, ব্রহ্ম পুরাণ, পদ্ম পুরাণ ও স্কন্দ পুরাণে রথযাত্রা সম্পর্কে পাওয়া যায় তথ্য। ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ বলছে, রাজা ইন্দ্রদ্যুন্ম ছিলেন দেবতা শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত। সমুদ্রে ভেসে আসা কাঠের খণ্ড দিয়ে তিনি দেবমূর্তি নির্মাণে আদেশ পান। আরও এক সূত্র বলে, তিনি বিষ্ণু মন্দির গড়ার স্বপ্নাদেশ পান। তবে এই মন্দির গড়া নিয়ে ছিল না ধারণা। আদেশ ছিল মূর্তি গড়ার সময়ে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না মন্দিরে। মূর্তি গড়ছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। 5/5 দরজা বন্ধ করে মূর্তি যখন গড়া হচ্ছে, তখন দরজার ওপারে রাজা বেশ উন্মিখ ছিলেন মূর্তি দেখার জন্য। শোনা যায়, একদিন মন্দিরের ভিতর থেকে কোনও আওয়াজ না আসার উৎসুক রাজা ঢুকে পড়েন মন্দিরে। তখনই নির্দেশ মতো মূর্তি অর্ধেক গড়া অবস্থাতেই পড়ে থাকে, অদৃশ্য হয়ে যান শিল্পী। তারপর থেকে সেই মূর্তিকে দেবজ্ঞানে পুজো করার রীতি চালু হয়। আর সেই থেকে পুরীর মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার পুজো হয়। পুরীর রথযাত্রার দিন তারা যান গুন্ডিচা মন্দিরে। আর ফিরতি পছের যাত্রাকে উল্টোরথ বলা হয়। যদিও পুরীতে তা বহুদা যাত্রা নামে পরিচিত। এই রথযাত্রায় তিন দেবদেবীকে শ্রীমন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়। PTI Photo