সনাতন ধর্মের জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমীতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের প্রিয়তম রাধা রানীর জন্মদিন পালিত হবে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনের ১৫ দিন পরে তাঁর প্রিয় শ্রী রাধা রাণীর জন্ম হয়েছিল, তাই এই দিনে রাধা অষ্টমী পালিত হয়। রাধাঅষ্টমীর দিন উপবাস করলে শ্রী কৃষ্ণ প্রসন্ন হন এবং ব্যক্তি কাঙ্খিত ফল লাভ করেন।
শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর ঠিক পনের দিন পর ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমীতে শ্রী রাধা অষ্টমী পালিত হয়। এই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে শ্রী রাধা অষ্টমী পালিত হবে, যার শুভ সময় সকাল ১১ টা ০১ মিনিট থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১ টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এই উপলক্ষ্যে আচারানুযায়ী শ্রী রাধা রানীর আরাধনা করলে ভগবান শ্রী কৃষ্ণও প্রসন্ন হবেন, এতে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসবে এবং কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে।
সনাতন ধর্মে, রাধা ছাড়া ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পুজো অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়, সেই কারণেই যে ভক্তরা জন্মাষ্টমীর উপবাস করেন তারা রাধা অষ্টমীতেও উপবাস করেন। শাস্ত্রে বলা আছে, আচার অনুযায়ী রাধা কৃষ্ণের আরাধনা করলে এবং জন্মাষ্টমী ও রাধা অষ্টমীতে উপবাস করলে সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। আর পরিবারে আসে সুখ ও সমৃদ্ধি।
তিনি জানান যে পঞ্চাং অনুসারে, ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং পরের দিন ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ দুপুর ১২ টা ১৭ মিনিটে শেষ হবে। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে শ্রী রাধা অষ্টমী পালিত হবে, শ্রী রাধার পুজোর শুভ সময় সকাল ১১ টা ০১ মিনিট থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১ টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এই শুভ সময়ে আচার অনুযায়ী পুজো করলে রাধাকৃষ্ণ প্রসন্ন হবেন এবং কাঙ্খিত ফল লাভ হবে।
শ্রী রাধা অষ্টমী উপলক্ষে উপবাস পালনকারী ভক্তদের এই চারটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
ব্রাহ্ম মুহূর্তের সময় খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে, স্নান করতে হবে এবং পরিষ্কার কাপড় পরিধান করতে হবে।
পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করানোর পর, রাধাকৃষ্ণকে সুন্দর পোশাক পরাতে হবে এবং শৃঙ্গার করতে হবে।
শ্রী রাধার মূর্তি একটি পরিষ্কার জায়গায় একটি হলুদ বা লাল কাপড় বিছিয়ে একটি তামার পাত্রে স্থাপন করতে হবে।
রাধাকৃষ্ণকে ভক্তি সহকারে ফল ও ফুল নিবেদন করা উচিত, এর পরে শ্রী রাধাকৃষ্ণের আরতি পাঠ করা উচিত।