হল ষষ্ঠী ভগবান কৃষ্ণের বড় ভাই বলরামের জন্মবার্ষিকী হিসাবে পালিত হয়। এটি কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দুই দিন আগে ষষ্ঠীতে উদযাপিত হয়। এই দিনে মায়েরা তাদের পুত্রের দীর্ঘায়ু কামনা করে উপবাস করেন। অন্যদিকে নববিবাহিত নারীরা সন্তানের সুখের জন্য এই উপবাস পালন করেন। আসুন জেনে নিই এই হল ষষ্ঠীর গুরুত্ব, তিথি ও শুভ সময়।
ভাদ্রপদ মাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর ভাই বলরামের পুজো বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে হল ষষ্ঠী পালিত হয়। ৫ সেপ্টেম্বর হল ষষ্ঠীর উপবাস রাখবেন মহিলারা। শিশুদের উন্নতি ও সুখের জন্য এই উপবাস পালন করা হয়।
হল ষষ্ঠীর শুভ সময়
হল ষষ্ঠী শুরু হবে ৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টে ৪১ মিনিটে। শেষ হবে ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টে ৫৬ মিনিটে। এইভাবে পঞ্চাং অনুসারে উদয় তিথির নিয়ম মাথায় রেখে এই উপবাস পালিত হবে ৫ সেপ্টেম্বর।
হল ষষ্ঠীর উপবাসের তাৎপর্য
এই উপবাস ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বড় ভাই বলরামকে উৎসর্গ করা হয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, দ্বাপর যুগে ভাদ্রপদ মাসের ষষ্ঠীতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের আগে বলরাম রূপে শেষনাগের জন্ম হয়েছিল। বিশ্বাস অনুসারে, বলরামজীর প্রধান অস্ত্র ছিল লাঙ্গল। তাই তাকে হলধরও বলা হয়। এ কারণেই তার জন্মবার্ষিকীর দিনটি হল ষষ্ঠী হিসেবে পালিত হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে লাঙ্গল দিয়ে চাষ করা কিছু খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যারা উপবাস রাখে তাদের ভুল করেও মাটি থেকে জন্ম নেওয়া জিনিস খাওয়া উচিত নয়। এর পাশাপাশি এই দিনে গরুর দুধ, দই, ঘিও খাওয়া হয় না। বরং এই দিনে মহিষের দুধ, দই ও ঘি খাওয়া হয়।
হল ষষ্ঠীর আচার
এই দিনে, মহিলারা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে এবং পুরো ঘরটি ভালো ভাবে পরিষ্কার করে। তারপর পুজোর স্থানটি সঠিকভাবে পরিষ্কার করার পর গঙ্গার জল দিয়ে শুদ্ধ করে। সঠিক দিক নির্বাচন করে নিয়ম-কানুন মেনে পুজো করা হয়। পুজোয় ৭ ধরনের শস্য নিবেদন করা হয়। কিছু মহিলা পরের দিন সপ্তমীতে উপবাস ভঙ্গ করেন।