গত রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির নিশ্চিন্তপুরে সভায় গিয়ে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, ‘বিজেপি সরকার সিএএ চালু করলে আর কোনও সরকারের ক্ষমতা নেই আমাদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করবে।’ এরপর আজ শনিবার সিএএ নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের সেই মন্তব্য ঘিরে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘ এক সপ্তাহের মধ্যে রুল ফ্রেম বলতে গিয়ে মুখ ফসকে গিয়েছিল।’ এরপরই পাল্টা তোপ দাগে তৃণমূল।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ওটা স্লিপ অফ টাং নয়। মিথ্যা বলে বলতে এভাবে একদিন জিভটাই খসে পড়বে।' এর আগে গত রবিবার কুলপির নিশ্চিন্তপুরের সভায় মোদী সরকারের মন্ত্রিসাভার সদস্য শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, ‘যাঁরা ১৯৭১ সালের পরে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দরকার। কারণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে হবে। ‘বিজেপি সরকার সিএএ চালু করলে আর কোনও সরকারের ক্ষমতা নেই আমাদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করবে। ’ তবে এরপর শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার কুঠিবাড়িতে মতুয়া মহাসংঘের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সিএএর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সরব হন। শান্তনু দাবি করেন, সিএএ যে চালু হবে তার '১০০ শতাংশ গ্যারান্টি রয়েছে।' শান্তনু বলেন,'কিছুদিনের মধ্যেই সিএএ চালু হবে। আর তার ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি রয়েছে।' এদিকে, শান্তনুর সিএএ মন্তব্যের পর রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই পাল্টা সরব হয়েছিলেন। শশী পাঁজা বলেছিলেন,' আবারর শান্তনু ঠাকুর বলেছেন সিএএ অবশ্যই হবে। তাঁর নাকি আত্মবিশ্বাস আছে। আসলে তাঁরই আত্মবিশ্বাস নেই।' তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন সিএএর প্রয়োজন নেই। সিএএ বাংলায় হবে না। যাঁদেরকে ওঁরা নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছেন, তাঁরা দেশেরই নাগরিক।’
এদিকে, শান্তনু ঠাকুরের গত রবিবারের মন্তব্যের পর পাল্টা সুর চড়ান মমতা। তিনি শান্তনুর নাম না করেই বলেছিলেন, ‘এখন ক্যা ক্যা করে চিৎকার করছে! একটা ফ্যা-ফ্যা ভোটের রাজনীতি করার জন্য। আপনারা সবাই নাগরিক, আপনাদের সকলকে নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছি। সমস্ত উদ্বাস্তু কলোনিকে স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে দিয়েছি।’ এদিকে, শান্তনুর বক্তব্যের আগে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘যতদূর জানি ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সিএএ লাগুর চেষ্টা চলছে। উদ্বাস্তুরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন, খুব তাড়াতাড়ি লাগু হবে। ’