প্রথম থেকেই তিনি চেষ্টা করে আসছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আগেও দু'বার বৈঠকে বসেছিলেন। অবশেষে তৃতীয়বারের বৈঠকে ‘সদর্থক’ ফল মিলেছে বলে দাবি করলেন দমদমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়।
‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে তিনি বলেন, ‘আলোচনা খুব ভালো হয়েছে। শুভেন্দু বলেছে যে ও দলে আছে। আলোচনায় বসার জন্য আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দুকে ডেকেছিলাম। (আগামিকাল) শুভেন্দু জনসমক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, শুভেন্দু দল ছাড়বে না। বৈঠকে যা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জানিয়েছি।’
তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে উত্তর কলকাতার একটি জায়গায় বৈঠকে বসেন শুভেন্দু ও অভিষেক। সেখানে ছিলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। ছিলেন সৌগত। প্রায় রাত সাড়ে ন'টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। সেখানেই শুভেন্দুর ‘মানভঞ্জন’-এর পথ অনেকটা প্রশস্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বৈঠকের পরে সৌগত জানান, বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়েছে। সকলের সঙ্গে বসে আলোচনা ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার যা মনে হয়, তাতে সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। শুভেন্দু তৃণমূলে আছেন, থাকবেন।’ সংবাদসংস্থা এএনআইকে সৌগত বলেন, ‘শুভেন্দু বিজেপিতে যাচ্ছেন না। এটা ভ্রান্ত ধারণা। প্রশান্ত কিশোর, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠক করেছি আমরা। উনি তৃণমূলের সঙ্গে আছেন এবং থাকবেন। মমতাকে (বন্দ্যোপাধ্যায়) জেতানোর জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
শুভেন্দুর বাবা তথা পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, ‘এটা ভালো খবর। এতদিন যা হচ্ছিল, তা দলের জন্য ভালো নয়।’ তবে সেই বৈঠক নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন শুভেন্দু। এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামিকাল (বুধবার) সম্ভবত কলকাতায় আসতে পারেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি সংবাদমাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ স্পষ্ট করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।