বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Duare Sarkar: দুয়ারে সরকারে থাকছে না ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প, কেন এমন ঘটতে চলেছে?‌

Duare Sarkar: দুয়ারে সরকারে থাকছে না ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প, কেন এমন ঘটতে চলেছে?‌

দুয়ারে সরকার শিবির।

এবারের দুয়ারে সরকার শিবিরে রাজ্য সরকারের মোট ২৫টি প্রকল্পের সুবিধা মিলবে—খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, শিক্ষাশ্রী, তফসিলি বন্ধু, জয় জোহার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মানবিক, কৃষকবন্ধু, ঐক্যশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড–সহ অন্যান্য প্রকল্পগুলি।

আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় দুয়ারে সরকার শিবির। কিন্তু এই প্রথম সেখানে থাকছে না ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই শিবিরে বহু গ্রামবাসী ১০০ দিনের কাজের ফর্ম তুলবে বলে ঠিক করেছিলেন। সেটা হবে না জানতে পেরে হতাশ অনেকেই। গ্রামীণ মানুষের রোজগারের এটা একটা বড় পথ। এবার সেই ফর্ম পূরণ বা জমা দেওয়া যাবে না বলে খবর প্রকাশ্যে এসেছে।

কেন এমনটা ঘটতে চলেছে?‌ নবান্ন সূত্রে খবর, চলতি অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের অধীন বাংলার জন্য শ্রমদিবস বরাদ্দই করেনি মোদী সরকার। ফলে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের আওতায় আনা যাচ্ছে না গ্রামীণ মানুষজনকে। এই নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী কেন্দ্রের দাবি মেনে সমস্ত তথ্য দিয়েছে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর। তারপরও এই প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষকে এখনও পর্যন্ত বঞ্চিত রেখেছে নয়াদিল্লি। যা নিয়ে গ্রামীণ মানুষজন কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ পঞ্চম দফার এই দুয়ারে সরকার শিবির চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ‘‌পাড়ায় সমাধান’‌। আগে প্রত্যেক বছর ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে দেশে এক নম্বর স্থান পেয়েছে বাংলা। তাই দুয়ারে সরকার শিবিরে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই প্রকল্পকে রাখা হতো। নতুন জবকার্ড থেকে শুরু করে কাজের জন্য আবেদন করতে পারতেন গ্রামীণ মানুষজন।

কেমন করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?‌ গতকাল, শনিবার আসন্ন দুয়ারে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে দফতরের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন নবান্নে। ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন জেলাশাসকরা। নবান্ন সূত্রে খবর, এই বৈঠকেই এবারের দুয়ারে সরকার শিবিরে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প বাদ পড়ার বিষয়টি ওঠে। তাই এবারের শিবিরে বেশি করে জোর দিতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের নাম নথিভুক্তের উপর। রাজ্যের প্রতিটি মৎস্যজীবীকে পরিচয়পত্র দেবে রাজ্য। এমনকী কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল (এগ্রিকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড) স্কিমে জোর দিতে বলা হয়েছে। এবারের দুয়ারে সরকার শিবিরে রাজ্য সরকারের মোট ২৫টি প্রকল্পের সুবিধা মিলবে—খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, শিক্ষাশ্রী, তফসিলি বন্ধু, জয় জোহার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মানবিক, কৃষকবন্ধু, ঐক্যশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড–সহ অন্যান্য প্রকল্পগুলি।

বন্ধ করুন