কয়েকদিন আগেই পঞ্চায়েতের পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য প্রায় হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে পাহাড়কে। পাহাড়ের ১১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৯টি পঞ্চায়েত সমিতি এই টাকা পাবে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং (পার্বত্য অঞ্চল) এবং কালিম্পং জেলায় দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। তাই জিটিএ এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি পেয়েছে। এতদিন নির্বাচন না হওয়ায় এলাকার জন্য গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ করত না কেন্দ্রীয় সরকার। এবার পাহাড়ের জন্য গ্রামোন্নয়ন খাতে টাকা দিতে রাজি হয়েছে কেন্দ্র।
নবান্ন সূত্রে খবর, ১ সেপ্টেম্বর রাজ্য পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব মমতা ভার্মাকে একটি চিঠি লেখেন। সেখানে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা মঞ্জুর করার আর্জি জানান সচিব। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলার ৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৩৩৪টি পঞ্চায়েত সমিতির জন্য ২০২২–২৩ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এবার তাই দার্জিলিংয়ের ৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৫টি পঞ্চায়েত সমিতি ও কালিম্পং জেলার ৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েত, চারটি পঞ্চায়েত সমিতির জন্যও অর্থ কমিশনের টাকা বরাদ্দ করা হোক।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এদিকে সূত্রের খবর, এই চিঠি পাওয়ার পর কেন্দ্র রাজ্যের আর্জি মেনে নিয়েছে। আর দ্রুত টাকা ছাড়া হবে বলে জানিয়েও দিয়েছে রাজ্যকে। পঞ্চায়েত সচিব তাঁর চিঠিতে কেন্দ্রকে জানান, গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী, জেলা পরিষদের সমান ক্ষমতা জিটিএ’র। তাই এই দুই জেলার জেলা পরিষদের প্রাপ্য ১৫ শতাংশ অর্থ দেওয়া হোক জিটিএ’কে বা কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী সেই টাকা দেওয়া হোক ৯টি পঞ্চায়েত সমিতিকে। তাহলে এখানের সার্বিক উন্নয়ন গড়ে তোলা সম্ভব।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় আলুর দাম কি নাগালের বাইরে চলে যাবে? জানিয়ে দিল কৃষি বিপণন দফতর
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ৩৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস গড়ে তোলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। পাহাড়ে আরও উন্নয়ন ঘটাতে ওই এলাকার আধিকারিক এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। এই টাকা পাওয়ার বিষয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২৩ বছর পর পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্ভব হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড়ের মানুষের প্রাপ্য টাকা দিতে চলেছে।’