আসানসোলে ভয়াবহ ঘটনা! পরিত্যক্ত খাদানের জলে ভেসে উঠল একের পর এক দেহ। তার মধ্যে দুজন শিশু, একজন মহিলা ও একজন পুরুষ রয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে তাঁরা কি একই পরিবারের? তবে কি গোটা পরিবারই এভাবে শেষ হয়ে গেল খাদানের জলে?
আসানসোলের নুনিয়া নদীর তীরবর্তী তপসি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত খাদানের জলে পরপর একাধিক দেহ ভাসতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। পরিত্যক্ত খাদানের প্রায় ১০০ ফুট গভীরে দেহগুলি ভাসতে দেখা যায়। কিন্তু ওখানে দেহগুলি গেল কীভাবে? প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তাঁরা কীভাবে ওই পাথর খাদানের মধ্যে গেলেন? তাঁরা কি কোনওভাবে পাথর খাদানের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন? নাকি অন্য জায়গা থেকে তাঁদের ওখানে নিয়ে এসে ফেলে দেওয়া হয়েছিল? একাধিক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনও।
তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে চারজনই একই পরিবারের সদস্য। স্বামী, স্ত্রী ও দুই সন্তান বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে ঠিক কীভাবে তারা ওই জায়গায় পড়ে গেলেন তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে চারটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। তবে মৃতের পরিচয় জানার জন্য় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করা হচ্ছে।
এদিকে দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশকে। গভীর খাদানের মধ্যে দেহগুলি পড়েছিল। সেগুলিকে ধীরে ধীরে উদ্ধার করা হয়। তবে ওই পরিবারের সদস্যরা কেন ওই এলাকায় ঢুকেছিলেন তা নিয়ে নানা সন্দেহ দানা বেঁধেছে। কিন্তু পরিবারের দুই সদস্যরা ওই খাদানে গেলেও শিশুরা কীভাবে গেল ওখানে। তবে কি বাইরে থেকে খুন করে তাদের ওখানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল? এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার সঙ্গে পরতে পরতে রহস্য দানা বেঁধেছে।
এদিকে এর আগেও পরিত্যক্ত খাদানকে ঘিরে নানা বিপত্তি হয়েছে আসানসোলে। এবার একেবারে গভীর খাদান থেকে উদ্ধার হল পরপর চারটি দেহ। পরিত্যক্ত পাথর খাদানের জলে উদ্ধার হওয়া দেহগুলিতে আঘাতের কোনও চিহ্ন রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।