শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪২ জন। এদের মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন রয়েছেন। সামাজিক দূরত্ববিধি না মেনে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় তাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা। ওই অনুষ্ঠানে যোগদানকারী আরও অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে হাসপাতালে জায়গা দিতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্তারা।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনো পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানে যোগদানকারী ৪২ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দ্বারিগেড়িয়া ছাড়াও, সাতবাঁকুড়া, শান্তিনগর, বিলা, গোলবাঁধিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ওই অনুষ্ঠান থেকেও। সংক্রমণ ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার সিমলিপালেও। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বরাতজোরে এখনো কারও মৃত্যু হয়নি।
জানা গিয়েছে, জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুরের দ্বারিগেড়িয়ায় এক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দেন বহু মানুষ। হরিনাম সংকীর্তন করেন তাঁরা। এর পরই এলাকায় দেখা দেয় করোনার প্রকোপ। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর স্থানীয় সাতবাঁকুড়া গ্রামের একই পরিবারের ৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ১২ ও ১৪ বছর বয়সী ২ কিশোর রয়েছে।
জানা গিয়েছে, পরিবারের কর্তা কীর্তন দলের দলপতি। পরিবারের সবাই মিলে কীর্তন করতে গিয়েছিলেন দ্বারিগেড়িয়ায়। কিছুদিন পরেই একে একে করোনার উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে তাদের। গত ৬ অগাস্ট তাঁদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে দেখা যায় পরিবারের ৫ সদস্য করোনা আক্রান্ত।
একসঙ্গে এত মানুষ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জেলার করোনা হাসপাতালে প্রথমে তাদের ভর্তি করা যায়নি। পরে শালবনি করোনা হাসপাতালে শয্যা খালি হলে শুক্রবার তাঁদের সেখানে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজকের বিরুদ্ধে মহামারি আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।