বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির বাসিন্দা ওই স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত স্কুল শিক্ষক দীপক জানা কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া জগন্নাথ মন্দির বিদ্যাপীঠে ইংরাজি পড়ান।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন দীপক জানা। তিনি সরকারি অফিসে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলতেন। শুধু নিজের জেলা নয়, অন্য জেলাতেও তাঁর প্রতারণার জাল বিছিয়ে ছিলেন দীপক। সম্প্রতি কাঁথি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কাঁথির কিশোরনগরের বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা অঞ্জলি গুছাইত। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে।
শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, অন্য জেলাতেও দীপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। চাকরি দেওয়া নাম প্রায় ৫ কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন দীপক। এর আগে প্রতারিতরা তাঁর বাড়িতে বিক্ষোভও দেখান। তাদের অভিযোগ, ২০১৮ সাল থেকে কাউকে গ্রুপ ডি, কাউকে গ্রুপ সি, প্রাথমিক, কাউকে আবার উচ্চ প্রাথমিক বা নবম-দশমে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা তুলেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
প্রতারিতরা জানিয়েছেন, পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
দীপক জানার বাড়ি ভুপতিনগর থানার মূলদা গ্রামে হলেও, অনেকদিন ধরে তিনি বসবাস করছেন কাঁথি শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের করকুলি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে। সেখান থেকে শুক্রবার রাতে দীপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন-কুন্তলের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।