নতুন বছর পড়ার পরে বৃহস্পতিবারই প্রথম তুষারপাত হল দার্জিলিংয়ে। একেবারে কনকনে ঠান্ডা উত্তর জুড়ে। দার্জিলিং পাহাড়ে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রিতে নেমে যায়। শিলিগুড়ি সমতলেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। টাইগারহিল, সোনাদা, ঘুমে বরফ পড়েছে। হু হু করে ঠান্ডা হাওয়া বইছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে পশ্চিমীঝঞ্ঝা। যার জেরেই আকাশের মুখও কিছুটা ভার।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে জলপাইগুড়ি ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বইছে। শিলিগুড়িতে বৃষ্টি না হলেও আকাশ ছিল মেঘলা। এদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী চার পাঁচদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা যেমন দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুরে আকাশ মেঘলা থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হতে পারে। এদিকে এর সঙ্গে শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। মূলত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সিকিম আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তুলনামূলক উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত হতে পারে। উত্তরের বিভিন্ন জেলায় শনি ও রবিবার বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা একধাক্কায় কিছুটা নেমে যেতে পারে। উত্তরের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৪-৫ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এরপর আগামী সপ্তাহ থেকে মেঘ কাটতে শুরু করবে। এরপর রোদ উঠলেও রাতের দিকে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হবে উত্তরের জেলাগুলিতে। এদিকে কুয়াশা ও শিলাবৃষ্টির জেরে ফসলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।