কোথাও অনুসন্ধান ছাড়াই এফআইআর করা হচ্ছে কোথাও আবার অনুসন্ধানের জন্য তা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এই নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এক মাস কেটে যাওয়ার পর সেই অভিযোগ না নেওয়ায় মথুরাপুর থানার ওসির কাছে শোকজ চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
কী অভিযোগ
মথুরাপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত কৃষ্ণচন্দ্র পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন শিলি হালদার। তিনি ওই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদারের স্ত্রী। দুজনের বিরুদ্ধেই পঞ্চায়েতের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ এনেছেন বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান।
আরও পড়ুন। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব হাজিরা না দিলে 'অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট,’ দাড়িভিট মামলায় বলল হাইকোর্ট
বর্তমান বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, কোথাও একবার কাজ করে তিনবার টাকা তোলা হয়েছে। কোথাও আবাক একবার কাজ করে দুবার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমান পঞ্চায়েত থানায় গত ৭ মার্চ অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারপর একমাস কেটে গেলেও এখন এফআইআর করেনি পুলিশ। উল্টে অভিযোগকারীকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি আদালতে জানিয়েছেন।
পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ
এ নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আদালত পুলিশের কাছে জানতে চায়, কেন এফআইআর নেওয়া হয়নি? জবাবে পুলিশ জানায়, বিডিও এ নিয়ে অনুসন্ধান করছেন। এরপর বিচারপতি জানতে চান এখানে বিডিও কেন? যেখানে প্রাথমিক অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে সেখানে আবার অনুসন্ধান কেন?
এই প্রসঙ্গে ভূপতিনগরের উদাহরণ টেনে আনেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। তিনি বলেন,'আপনার তো অনুসন্ধান না করেই ধৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে দিলেন। এখানে তো অভিযোগ জানানোর একমাস পরও এফআইআর করার মতো জায়গা পৌঁছতে পারল না পুলিশ।'
আরও পড়ুন। বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত, নির্দেশে 'বিস্মিত' কর্তৃপক্ষ আদালতে গেল
শো কজ ওসিকে
এর পরই আদালতের প্রশ্ন, 'তথ্য নথি নষ্ট করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এটা চেষ্টা নয়? আপনার যদি মনে হয় অভিযোগে অপরাধের কোনও ইঙ্গিত নেই, তাহলে আপনি খোলা এজলাসে অভিযোগ পড়ুন।' এক মাস ধরে কেন এফআইআর করা হয়নি, মথুরাপুর থানার ওসিতে তা ১৫ দিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অভিযোগকারীর নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়।
আরও পড়ুন। দূষণ বাড়ছে টাইগার হিলে, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ, মামলা গড়াল আদালতে