Amdanga Murder: আমডাঙায় তৃণমূলি প্রধান খুনে গ্রেফতার FIR-এ নাম থানা আনোয়ার

হাটের দখল রাখতে প্রতি হাটবারে হাটে এসে বসে থাকতেন প্রধান। বৃহস্পতিবার হাট থেকে বাড়ি ফেরার জন্য গাড়িতে ওঠার সময় তার ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।

রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছেন বোমার আঘাতে আহত পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল। 

উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় তৃণমূলি পঞ্চায়েত প্রধান খুনে গ্রেফতার ১। রাতে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে খুড়িগাছি গ্রাম থেকে আনোয়ার মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। বোদাই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার খুনের ঘটনায় যুক্ত বলে দাবি পুলিশের।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমডাঙার কামদেবপুর হাটে হাট চলাকালীন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডলকে বোমা মেরে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে ২টি বোমা ছোড়া হয়। একটি বোমা লাগে তাঁর ঘাড়ে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন রূপচাঁদ। তাঁকে উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় আমডাঙা এলাকায়। জয়নগরের মতো প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় রাতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার পরই উঠে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের তত্ত্ব। ওদিকে প্রাথমিক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দুষ্কৃতীদের ধরতে এলাকায় তল্লাশি শুরু করে পুলিষ। রাতে খুড়িগাছি থেকে আনোয়ারকে গ্রেফতার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। নিহতের পরিবারের দায়ের করা FIR-এ রয়েছে আনোয়ারের নাম। এছাড়া FIRএ নাম থাকা তোয়েব আলি মণ্ডল, পাপ্পু ও আফতারকে খুঁজছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে খুনের আসল কারণ জানার চেষ্টা হচ্ছে।

ঘটনার পিছনে দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল রহমানও। তিনি বলেন, ‘দলের বেছে দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রধান হয়েছিল রূপচাঁদ। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রধান পদ কিনেছিল সে।’ সূত্রের খবর, কামদেবপুর হাটের দখল নিয়ে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরেই এই খুন।