রেল স্টেশনগুলিকে আধুনিক করতে এবং বিমানবন্দরের মতো লুক দিতে ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পে কাজ হচ্ছে গোটা দেশে। আসানসোল ডিভিশনে অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর এবং ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবি স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে আধুনিকীকরণের কথা আগেই জানিয়েছিল রেল। এবার এই ডিভিশনের দেড় শতাব্দী প্রাচীন রানিগঞ্জ স্টেশনটিকে অমৃত ভারত প্রকল্পে আধুনিকীকরণ করা হবে। আসানসোল ডিভিশনে কবে থেকে স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হবে? সে কথা জানালো রেল।
আরও পড়ুন: মোদীর হাতে শিলান্যাস অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের, নতুন রূপ পাবে বাংলার ৩৭ স্টেশন
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বছরের প্রথম থেকেই আসানসোল ডিভিশনের এই স্টেশনগুলিকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে আধুনিককরণের কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই আসানসোল স্টেশনে এই কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নতুন বছরের প্রথমেই কাজ শুরু হবে। প্রথম ধাপে আসানসোল স্টেশনের সঙ্গে বাকি স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণের কাজ করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রথমেরদিকে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে রানিগঞ্জের নাম ছিল না। তবে স্থানীয়রা বিষয়ে দাবি তোলেন। বিশেষ করে ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের তরফে রানিগঞ্জকে আধুনিকীকরণের দাবি জানানো হয়। এ বিষয়ে আসানসোলের ডিআরএমের কাছে আবেদন জানান তারা। তাদের দাবি ছিল, ১৮৫৫ সালে তৈরি হয়েছিল এই রেল স্টেশন। শিল্পের দিক থেকে দেড় শতাব্দী প্রাচীন এই স্টেশনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। সেই কারণে তারা স্টেশনের আধুনিকীকরণের দাবি জানিয়েছিলেন । তাদের দাবি মেনে স্টেশনটিকে আধুনিকীকরণে সম্মত হয়েছে রেল।
জানা গিয়েছে, আসানসোল বাদে এই চারটি স্টেশনে আধুনিকীকরণের জন্য মোট ৯৩ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এর মধ্যে রানিগঞ্জ স্টেশনের জন্য খরচ হবে ৩৫ কোটি টাকা, অন্ডাল স্টেশনের জন্য খরচ হবে ২১ কোটি টাকা, পাণ্ডবেশ্বর স্টেশনের জন্য ২০ কোটি টাকা এবং কুমারডুবি স্টেশনের জন্য ১৭ কোটি টাকা খরচ হবে।
স্টেশনগুলিকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি চলমান সিঁড়ি থেকে শুরু করে লিফট তৈরি করা হবে। এছাড়া স্টেশনের সৌন্দর্যায়ন, ফুট ওভার ব্রিজ প্রভৃতি তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, পাণ্ডবেশ্বর স্টেশন লাগোয়া বিভিন্ন খনি থেকে প্রচুর কয়লা পরিবহণ করে ট্রেন। সেক্ষেত্রে পাণ্ডবেশ্বর স্টেশনের উন্নয়নের পাশাপাশি ওই সমস্ত এলাকাগুলিতেও উন্নয়ন করা হবে। কুমারডুবি স্টেশনের দক্ষিণ প্রান্তে একটি নতুন ভবন তৈরি করা হবে। সেখানে আধুনিক যাত্রী প্রতীক্ষালয়, দুটি চলমান সিঁড়ি এবং লিফট তৈরি করা হবে। এর ফলে যাত্রীদের সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।