অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়ে এখন সিবিআই হেফাজতে। এই নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে বড় প্রভাব পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ আজ, শনিবার সকালে বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতে এসে হাজির হলেন এক বয়স্ক ব্যক্তি। আর তাঁর হাতে রয়েছে একটি চিঠি। সেটা দিতেই অনুব্রতর বাড়িতে এসেছেন তিনি। বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের একমাত্র মেয়ে সুকন্যাকে চিঠি দিতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে এলাকা।
কে এই ব্যক্তি? কেন এসেছেন? স্থানীয় সূত্রে খবর, লাভপুর থেকে আসা ওই ব্যক্তির নাম শেখ নওশাদ আলি। তিনি অনুব্রতর বাড়ির সামনে এসে নিরাপত্তারক্ষীদের অনুরোধ করেন, এই চিঠিটি সুকন্যার হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। বয়স্ক ব্যক্তির এই সাহস দেখে তাঁরা অবাকই হয়েছেন। এমনকী সুকন্যার পাশে থাকার বার্তা দিতেই তিনি চিঠি নিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। যে ব্যক্তি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হযেছেন তাঁর বাড়িতে আর এক ব্যক্তি এসেছেন এটা ভাবতেই পারছেন না নিরাপত্তারক্ষীরা।
কী বলছেন শেখ নওশাদ আলি? এখানে এসে তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্গেসের সদস্য। আগে কংগ্রেস করতাম। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির খবর শুনেই ছুটে এসেছি। অনুব্রতকে নিয়ে মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খানের সঙ্গে আলোচনা করব। কোনও অসুবিধায় পড়লে সুকন্যা যাতে তাঁকে ফোন করেন, তার জন্য ফোন নম্বরও লিখে দিয়েছি চিঠিতে।’
ঠিক কী লেখা আছে চিঠিতে? ছোট চিঠি। তাতে কয়েক লাইনে লেখা, ‘আমার সালাম, ভালবাসা নেবে। তোমার বাবার জন্য মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খানের সঙ্গে আলোচনা করব।’ নীচে লেখা দুটি ফোন নম্বর। বীরভূমে অনুব্রতর অনুগামীরও অভাব নেই। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাও গ্রেফতার হওয়ার দু’দিনের মধ্যে এটা ভাবতে পারছেন না অনেকেই। বিষয়টি সিবিআইয়ের নজরে আনা হয়েছে।