কী আর এমন বয়স! এই বয়সে সেলফি তোলা, ভিডিও তোলা এসবের শখ ছিল ১৯ বছর বয়সী বাবাই দাসের। আর এই সেলফি তুলতে গিয়েই শেষ হয়ে গেল বাবাই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার মল্লিকপুর এলাকার ঘটনা। স্থানীয় ও পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে বাবাই আদতে তিলজলা এলাকার বাসিন্দা। মল্লিকপুরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ স্থানীয় আখনা ঝিলের কাছে স্থানীয় ২ জন বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে যান তিনি। এরপর বন্ধুদের নিয়ে সেলফি তুলছিলেন তিনি। এরপরই ভয়াবহ কাণ্ড।
বাবাইয়ের বন্ধু মহম্মদ আমিন বলেন, ঝিলের পাড়ে দাঁড়িয়ে বাবাই সেলফি তুলছিল।ঝিলের পাড়টা ভাঙা ছিল। সেই পাড়ে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে আচমকাই জলে পড়ে যায় বাবাই। আমরা পাড়ে দাঁড়িয়ে বাবাইয়ের হাত ধরে টেনেছিলাম। কিন্তু আমাদেরও পা পিছলে গিয়েছিল। এদিকে বাবাইয়ের মায়ের আক্ষেপ, বাবাইয়ের ছবি তোলার ,ভিডিও করার খুব শখ ছিল। কিন্তু ঝিলের ধারে ছবি তুলতে গিয়েই সব শেষ হয়ে গেল।
এদিকে ঘটনার পরপরই আত্মীয়ের বাড়িতে খবর দিয়েছিল বন্ধুরা। এরপর জাল দিয়ে তার খোঁজ চলে। কিন্তু তার খোঁজ মেলেনি। এরপর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে বাবাইয়ের দেহ উদ্ধার করে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাসিন্দাদের আক্ষেপ, সেলফি না তুলতে গেলে এতবড় বিপর্যয় ঘটত না। আর একটু সতর্কতা বজায় রাখা দরকার ছিল।