লাগাতার দুর্যোগের জেরে বিপর্যস্ত সিকিম। প্রবল বৃষ্টিতে গ্যাংটক থেকে লাচুং যাওয়ার পথে ধস নেমেছে। ফলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন ধরে দুর্যোগের জেরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চালচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক।
দুর্যোগের জেরে পাহাড়ের নরম অংশ থেকে গড়িয়ে পড়ছে পাথর। ফলে বিপদের অশঙ্কায় কালিম্পং প্রশাসনের থেকে যান চালচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই যানচলাচল বন্ধ করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে।
হোলি উৎসবের সময় এই বিপর্যয়ে বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বোঝা যাচ্ছে না। ফলে দুশ্চিন্তার মেঘ দেখা দিয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন। দোল উৎসবে ভিড় উপচে পড়ল শান্তিনিকেতনে, বসন্ত উৎসব হবে এপ্রিল মাসে
সিকিমের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির অন্যতম লাচুং। দোলের আগে থেকে টানা ছুটিতে অনেকে তাদের পর্যটন গন্তব্য বেছে নিয়েছেন সিকিমকে। এর ফলে পর্যটকদের ভিড় রয়েছে লাচুংয়ে।
প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবর মাসেও প্রবল দুর্যোগের মধ্যে পড়ে সিকিম। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয় নেমে আসে লাচুংয়ে। ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয় । দুর্যোগের প্রভাব পড়ে কালিম্পংয়েও। ক্ষয়ক্ষতি হয় রাস্তা ঘাটের।
আরও পড়ুন। এসপ্ল্য়ানেড মেট্রো স্টেশনে তিনগুণ বাড়ল টিকিট বিক্রি, ভিড় সামলাতে মোতায়েন এক্স আর্মি
তবে ধীরে ধীরে সেই বিপর্যয়ের ক্ষত সারিয়ে তুলছিল সিকিম। সারানো হচ্ছিল রাস্তাঘাট। গাড়ি চালচলও স্বাভাবিক হয়েছিল। পর্যটকরাও ফের ভিড় করছিলেন লাচুংয়ে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল সিকিমের পর্যটন ব্যবসা। এই অবস্থা ফের বিপর্যয় পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করেছে।
তবে হওয়া অফিস বলছে আগামী তিন চারদিন এমন দুযোর্গের পরিস্থিতি থাকতে পারে। ফলে আশার আলো দেখছে প্রশাসনও।
আরও পড়ুন। রঙের উৎসব দোলেও টক্কর দিদি–মোদীর, বাজারে দেদার বিকোচ্ছে দুই নেতা–নেত্রীর হোলির সরঞ্জাম