গরুপাচারকাণ্ডে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। এদিন তদন্তে অগ্রগতির কথা জানিয়ে আদালতে একটি সিডি পেশ করে সিবিআই। সেই সিডি দেখে বিচারপতি বলেন, আমি বিস্মিত। ২০ বছরের চাকরিজীবনে এই ধরণের তথ্য কোনও দিন দেখিনি।
শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ অনুব্রতকে আসানসোল আদালতে পেশ করে সিবিআই। তবে এদিন তাঁর কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি। তবে অনুব্রতর তরফে এদিন আদলতে ২টি আবেদন করা হয়। অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, ভোলে ব্যোম রাইসমিলের অ্যাকাউন্ট ডি-ফ্রিজ করে দিক সিবিআই। অ্যাকাউন্টটি অনুব্রতর নামে নয়। সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত অনুব্রতর ফোন ফেরত চান তিনি।
জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, তদন্ত এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। ফলে অ্যাকাউন্ট ডি - ফ্রিজ করা সম্ভব নয়। অনুব্রত ফোনের প্রযুক্তিগত পরীক্ষা এখনও শেষ হয়নি বলে জানান তিনি।
এর পর বিচারক সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে গত ১৫ দিনে তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে তা জানতে চান। জবাবে বিচারকের হাতে একটি সিডি তুলে দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সেই সিডি দেখে বিচারক বলেন, আমি বিস্মিত। ২০ বছরের চাকরিজীবনে এই রকম তথ্য কোনওদিন দেখিনি। তবে সিবিআই আদালতের হাতে কী তথ্য তুলে দিয়েছে তা ২ পক্ষই গোপন রেখেছে। এর পরই ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুব্রতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এদিন আদালতের পথে অথবা জেলে ফেরার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কোনও জবাব দেননি কেষ্ট।
গরুপাচার মামলায় গত ১১ অগাস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর তদন্তে কোটি কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা।