এবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের তরফে টিকিট পাননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী তথা দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের প্রাক্তন বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা। এরপরই গত ১০ই মার্চ কলকাতায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলায় ফেরার পর তাঁকে প্রার্থী করা তো দূরের কথা, গেরুয়া শিবিরের বিশেষ কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত রাখতেন না। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের দুবারের বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদার তখন কার্যত একূল ওকূল দুকূল যাওয়ার অবস্থা। এরপর গোটা রাজ্য জুড়ে বিজেপির ভরাডুবি। সেই পরিস্থিতিতে এবার পুরানো ঘর তৃণমূলে ফিরতেই মরিয়া তিনি। কিন্তু তৃণমূল কি আদৌ তাঁকে ঘরে তুলবে? তবে এব্য়াপারে রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব।
কিন্তু ভোটের আগে বিজেপি তাঁকে সক্রিয়ভাবে কেন কাজে লাগায়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেকারণে দলে নিয়েও স্থানীয় স্তরে বাচ্চু হাঁসদার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতে চাননি বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গেরুয়া শিবিরে ভিড়ে যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয়ে তিনি তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় তৃণমূলও তাঁর কথায় কোনও গুরুত্ব দেয়নি। গত শুক্রবার দলে ফিরতে চেয়ে ফের আবেদন করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ভুল করেছিলাম। তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে আমাকে কাজ করতে দেওয়া হোক। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ‘তিনি গেলেন কেন? এব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবে।’
তবে মন প্রাণ দিয়ে এখন তৃণমূলেই ফিরতে চাইছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। এমনকী দিন কয়েক আগে তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছিলেন বিজেপিতে থেকেও তিনি গোপনে নির্বাচনের সময় তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিলেন। এমনকী তাঁকে দলে সক্রিয়ভাবে নিলে তিনি তপন, গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট আসনগুলি জিতিয়ে আনতে পারতেন বলেও জানিয়েছেন। তবে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মতে, তার জন্যই লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছিল। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় আসবে ভেবে ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এখন আবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। পুরোটাই সুযোগসন্ধানী।’