ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম গোবিন্দপুরে ইছামতি নদীর উপর কাঠের সেতুর বেহাল অবস্থা। ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়েই নিত্য যাতাযাত করতে হয় গ্রামবাসীদের। বনগাঁ এবং বসিরহাট দুটি প্রধান শহরের যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম এই সেতু। সেতুটি যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীদের।
স্থানীয়দের ক্ষোভের থবর পেয়ে সেতুটি পরিদর্শনে যান স্বরূপনগরের বিডিও শুভদীপ চৌধুরী। তিনি আশ্বাস দেন সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা হবে।
ওই বেহাল সেতুটি দিয়েই নিত্যদিন যাতায়াত করছেন গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ আশ্বাস দিলেও সেতুটি সংস্কারের কোনও ব্যবস্থাই করেনি প্রশাসন। উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতুটি দিয়ে ইছামতি নদী পার করতে হয়।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন হেঁটে গেলেও সেতুটি নড়তে থাকে। সাইকেল বা বাইকে করে গেলে সেতুটি দুলতে থাকে। সেতুর একাধিক জায়গায় কাঠ খসে পড়েছে। কোথায় ব্যারিকেড ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য এই সেতু ছাড়া বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই এই কাঠের সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয় বাসিন্দাদের। সোমবার রাতে সাইকেল নিয়ে পার হওয়ার সময় সেতুর একটি অংশ ভেঙে জলে পড়ে যান এক ব্যক্তি।
(পড়তে পারেন। আলোর উৎসবের রেশ থাকতেই অন্ধকার কাটবে সুন্দরবনের এই দ্বীপে)
প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানিয়েছিলেন সেতু মেরামতির জন্য ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কথা জানতে পেরে তিনি বলেন, 'পঞ্চায়েতের তরফে আমরা সেতুটির কিছুটা সংস্কার করেছি। খুব শীঘ্রই সেতুটির পূর্ণ সংস্কার হয়ে যাবে। '
তবে গ্রামবাসীরা আর কাঠের সেতু চাইছেন না। তাদের দাবি, বদলে ইছামতির উপর কংক্রিটের ব্রিজ করা হোক। তবে কবে তাদের দাবি পূরণ হবে কেউ জানেন না।