বাঁশবেড়িয়ার গুলিকাণ্ডে অভিযুক্ত বাহুবলী নেতা সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনা শীলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার অর্ণব ঘোষ জানান, ভদ্রেশ্বর থেকে সোনা শীল ও তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁশবেড়িয়ার বর্তমান পুর প্রশাসক আদিত্য নিয়োগীকে গুলি কাণ্ডের অভিযোগে মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন পুরপ্রশাসকের স্বামী সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনা শীলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভোলা–সহ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বাহুবলী নেতা এবং তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও সোনা শীলের ঘনিষ্ঠমহল দাবি করেছে, তিনি নিজে এবং তাঁর সঙ্গীরা আত্মসমর্পন করেছে। গত ১২ মে বাঁশবেড়িয়ার প্রাক্তন উপ–পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগীকে গুলি করার ঘটনায় নাম উঠে আসে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার পুরপ্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনা শীলের। ঘটনার পর সোনা শীলের দুটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় অদিত্য নিয়োগীর সমর্থকরা। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন সোনা শীল। রবিবার রাতে চুঁচুড়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সোনা শীল তার দেহরক্ষী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও তিনজনকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জমি কিনে দেওয়ার নামে টাকা তছরূপ–সহ আরও ৬টি অভিযোগ গত কয়েকদিনে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে। শনিবারই গোপন ডেরা থেকে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ১২ মে বাঁশবেড়িয়ার বেলতলায় বাজারে গিয়েছিলেন পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী। বাড়িতে কালীপুজো থাকায় ফল কিনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তখনই তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা হয়। দূর থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।