পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ যেন প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে। শান্ত বিনয়ের পেনাল্টি বক্সে জ্বলন্ত গোল হিসাবে দেখা দিয়েছে বিমল। সে আবার প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা মাথায় নিয়েও। বিজেপি ছেড়ে এখন তিনি তৃণমূলের পাশে। আবার কোচবিহারের মিহির গোস্বামী এখন বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। এই সব চলাকালীন শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে হাজির হলেন বাইচুং ভুটিয়া। তখন থেকেই নতুন সমীকরণের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সিকিম আর বাংলার ফুটবল এবং রাজনীতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে বলে জানান অশোক ভট্টাচার্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সে কথা জানিয়েছেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। শিলিগুড়ি ফুটবল অ্যাকাডেমিতে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়াও।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে রাজনীতিতে পা রাখেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন বাইচুং ভুটিয়া। পাহাড়ে ভোট টানতে পাহাড়ি পিচের স্ট্রাইকারকেই প্রচারের মুখ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং কেন্দ্রে বিজেপি’র এসএস আলুওয়ালিয়ার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাইচুং ভুটিয়া। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও একই ফল দেখা যায়। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি কেন্দ্রে বামফ্রন্ট প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের কাছে ভোটে হারেন তৃণমূল প্রার্থী বাইচুং ভুটিয়া। আর তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকার পর ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়েন বাইচুং ভুটিয়া।
কিন্তু বুধবার হঠাৎ কেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে বাইচুং ভুটিয়ার আগমন? অশোকবাবু বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খেলাধূলো নিয়েও চর্চা হয়েছে।’ তাহলে কি নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ? যদি এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে।