বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির কাছে একটি মাঠে ট্যাঙ্কে যুদ্ধের অনুশীলনের সময় ফেটে যায় T-90 ট্যাঙ্কের ব্যারেল। এই ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই কর্মী নিহত হন। নিহত সেনাকর্মীদের মধ্যে একজন হলেন নদিয়া পলাশিপাড়া থানার হাঁসপুকুরিয়ার বাসিন্দা সুকান্ত মণ্ডল। ২০২০ সালে ভারতীয় সেনায় নিযুক্ত হয়েছিলেন সুকান্ত। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির ববিনা ৫৫ আরমার্ড রেজিমেন্টে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই মাসের ১৩ তারিখ বাড়ি আসার কথা ছিল তাঁর। তবে এই দুর্ঘটনার জেরে এবার তাঁর কফিনবন্দি দেহ ফিরবে বাড়িতে।
জানা গিয়েছে, সুকান্তর সঙ্গেই ৫৫ আরমার্ড রেজিমেন্টে নিযুক্ত ছিলেন ধোপট্টর বাসিন্দা সুমন্ত মণ্ডল। একমাস আগে ছুটিতে গ্রামে আসেন সুমন্ত। বৃহস্পতিবার রাতে সুমন্তর কাছেই ফোন আসে সেনার তরফে। সুকান্তর পরিবারকে ঘটনা সম্পর্কে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয় সুমন্তকে। তিনি সুকান্তর পরিবারকে এই দুঃসংবাদ জানান। খবর পেয়ে ভেঙে পড়েন সুকান্তর মা রিঙ্কু মণ্ডল। ছেলের ছবি আঁকড়ে ধরে কাঁদতে থাকেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুক্রবার সেনার তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘২০২২ সালের ৬ অক্টোবর বাবিনা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে বার্ষিক গুলি চালানোর অনুশীলনের সময় একটি ট্যাঙ্কের ব্যারেল ফেটে গিয়েছিল। ট্যাঙ্কটি তিনজন সেনাকর্মী ছিলেন। ঘটনার পরই ট্যাঙ্কে থাকা তিনজনকে সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পরে তাঁদের বাবিনায় সামরিক হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ট্যাঙ্কের কমান্ডার এবং বন্দুকধারী বিস্ফোরণের আঘাতে মারা যান। ট্যাঙ্কের চালক আহত হয়েছিলেন এই ঘটনায়। তিনি আপাতত বিপদমুক্ত। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন।’