ভূপতিনগরের বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে কয়েকদিন আগেই বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল এনআইআ। এরই সঙ্গে সম্প্রতি আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে তলব করেছে এনআইএ। তলব পাওয়া মানব পাড়ুয়া নামক এক তৃণমূল নেতা এনআইআ-র নোটিশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। অবশ্য হাই কোর্ট এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে। সেই নেতাকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি। তবে এনআইএ-এর কাছে কেস ডায়েরি তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ এপ্রিল। এদিকে এই সবের মাঝেই আবার ভূপতিনগর থানারও ওসির বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: বাংলায় ২ নম্বরে নেমে যাবে তৃণমূল, বলছেন PK, পুরনো বন্ধুকে নিয়ে কী বলছে মমতার দল?)
আরও পড়ুন: প্রশান্ত কিশোরের পূর্বাভাসে জ্বলে উঠল কংগ্রেস, বলল - 'রাজ্যে ৪০ আসন জিতবে INDIA'
ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানিয়েছেন, ভূপতিনগর থানার ওসি নাকি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতো আচরণ করছেন। উল্লেখ্য, গতকাল একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, বিধায়কের সঙ্গে পুলিশ আধিকারিক বচসায় জড়িয়েছেন। ভিডিয়োর সত্যতা অবশ্য যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে ভাইরাল ভিডিয়োর পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি অভিযোগ করে, সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই বিধায়কের অফিসে ঢুকে এক বিজেপি নেতাকে ধরার চেষ্টা করে পুলিশ। (আরও পড়ুন: ডিএ ৪% বাড়লেও এই ভাতা একলাফে বাড়ল ৫০%, মুখে হাসি এই সরকারি কর্মীদের)
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে রাজ্য সরকারের পতনের পূর্বাভাস, নির্বাচনে বাংলার ফলাফল নিয়ে বড় দাবি
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৬ এপ্রিল ভূপতিনগরে এনআইএ তদন্তকারীদের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বিস্ফোরণ কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের বিরুদ্ধে বেআইনি বাজি কারবারের অভিযোগ উঠে এসেছিল তখন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে এনআইএ। সেই তদন্তের সূত্রে ভূপতিনগরে গিয়েই আজ আক্রান্ত হন এনআইএ তদন্তকারীরা। ভূপতিনগরের তদন্তে নেমে এক সপ্তাহ আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের আট জন নেতাকে তলব করেছিল এনআইএ। জানা যায়, নবকুমার পাণ্ডা, মিলন বার, সুবীর মাইতি, অরুণ মাইতি ওরফে উত্তম মাইতি, শিবপ্রসাদ গায়েন, বলাইচরণ মাইতি, অনুব্রত জানা এবং মানবকুমার বড়ুয়াকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই নোটিশে সাড়া দেননি তৃণমূল নেতারা। এই আবহে এনআইএ তদন্তকারীরা ভূপতিনগরে পৌঁছে যান। সেখান থেকে একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়ই নাকি বিক্ষোভের মুখে পড়েন তদন্তকারীরা। এদিকে হামলায় দুই এনআইএ অফিসার আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। শেষ পর্যন্ত দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। আজ আরও তিন তৃণমূল নেতাকে তলব করা হয়েছে এনআইএ-র তরফ থেকে। আর এরই মাঝে এনআইএ-র বিরুদ্ধে পুলিশে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।