ভারত বনধ মানে কী? এখন এই প্রশ্ন রাজ্য–রাজনীতিতে বড় আকার ধারণ করেছে। কারণ ভারত বনধ মানে গোটা ভারতে সব ধরণের পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সব রাজ্যে এই বনধপালিত হবে। সেখানে রাজ্যের একটি অঞ্চলে আলাদা করে বন্ধ ডাকার কোনও মূল্য আছে কিনা তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। আর এই কাজটি করেছে বিজেপি।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে দেশ তোলপাড়। তাই মঙ্গলবার কৃষকরা ভারত বনধ ডেকেছে। সেক্ষেত্রে বিজেপি কী করবে? নিজেদেরকে লাইমলাইটে আনতে তারা উত্তরকন্যা অভিযান করল। আর তাতেই মারা গিয়েছেন এক বিজেপি কর্মী। এরপরেই ভারত বনধের ডাক দেয় গেরুয়া শিবির।
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, উলেন রায়ের মৃত্যুর কারণ ছররা গুলি। যদিও কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আসলে ওটি রবার বুলেট। আর তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকল বিজেপি। এখানেই শেষ নয়, এই বন্ধ কতটা সফল হয় তা দেখে সংগঠনের হাল–হকিকত বুঝে নিতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। কারণ এখন বিমল গুরুং আর পাশে নেই। আবার মানুষের সামনে বলা যাবে এই বন্ধ মানুষ সফল করেছে। অথচ ভারত বনধ ডেকেছে কৃষকরা। ক্রিম খেতে চাইছে বিজেপি।
৮ ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষকরা। কৃষকদের ডাকা বনধকে পরোক্ষ সমর্থন করেছে তৃণমূল। তাই রাজ্যে বনধের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতি নিজেদের দিকে ঘোরাতে রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে গেলেন বিজেপি প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানালেন মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ করবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই কৃষকদের ডাকা ভারত বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছে ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। কংগ্রেস, আপ, টিআরএস, এনসিপি এবং বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলিও সমর্থন জানিয়েছে।সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গে আজকে পরিস্থিতি কি হয়, সেদিকেই থাকবে নজর।