অবৈধ জমায়েতের মামলায় জলপাইগুড়ির দাপুটে বিজেপি নেতা তথা জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এনিয়ে এবার মুখ খুললেন বাপি গোস্বামী। পালটা শাসক দলকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। সুদে আসলে জবাব দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তার আগে বাপির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকে রাজনীতি হিসেবেই দেখছেন বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি, শুধু তাঁর বিরুদ্ধেই নয়, বিজেপির অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধেও মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অবৈধ জমায়াতের অভিযোগ আনা হয়েছে। শুধু আমার বিরুদ্ধেই নয়, আমার দলের অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। সময় চিরকাল এক থাকে না। অমাবস্যার পর পূর্ণিমা আসে। যখন দিনটা আসবে সেদিন সুদে আসলে জবাব দেব।’ এ প্রসঙ্গে ‘বিনাশকালে শাসকদলের বুদ্ধিনাশ হয়েছে’ বলে তিনি কটাক্ষ করেন।
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ির দাপুটে বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত বাপি এল। জেলার বিরোধী মহলেও তাঁর যথেষ্ট নাম ডাক রয়েছে। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
যদিও বিষয়টিকে রাজনীতি বলে মানতে চাইছেন না জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ। তিনি বলেন, ‘যিনি অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রায়ই হয়ে থাকে। সব সময় ওরা শাসকদলের ঘাড়েই দোষ চাপায়। কিন্তু সবকিছুতেই রাজনীতি হয় না।’ উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জলপাইগুড়ির বেশ কিছু জায়গায় অবৈধ জমায়েতের অভিযোগ উঠেছিল। যার নেতৃত্বে ছিলেন বাপি গোস্বামী। তাই নিয়ে মামলা হয়েছিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে। এতদিন সেই মামলাটা চলছিল। অবশেষে সোমবার জেলা আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বাপি গোস্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তারপরেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup