মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নানা মহল থেকে নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। তার মধ্যে কংগ্রেসের শশী থারুর আবার মহুয়ার সপক্ষে মন্তব্য করেছেন। তাতে আরও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতি হল বলে মনে করা হচ্ছে। আর দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মতামত দেওয়া হয়নি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম কিছু মন্তব্য করেছেন। যদিও সেটার পক্ষে খুব একটা সুবিধাজনক নয়। এই আবহে মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে সুর চড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপি এই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। শুভেন্দু আজ মহানবমীর দিন জানান, মহুয়া মৈত্র সংসদে অশ্রাব্য ভাষায় বিজেপিকে আদানির এজেন্ট বলে আক্রমণ করেন। উনি কার এজেন্ট সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। হিরানন্দানি কর্মকর্তারা সেটা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘পার্লামেন্টের প্রিভিলেজড কমিটি এবং সিবিআই এই দুটি সংস্থা তদন্ত করছে। তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবে।’ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে তিনি জেলে দেখতে চান বলেও আজ জানিয়ে দিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? অসংসদীয় কার্যকলাপের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের শাস্তি হোক বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না। ঠিক একই কারণে আগে সাংসদদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, এবারও তৃণমূলের এই সংসদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এটাই আশা করছে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের মানুষ। আমরা শুধু সাংসদ পদ খারিজ হোক সেটা দেখতে চাই না। আমরা ওঁকে জেলেও দেখতে চাই।’ যদিও সংসদের এথিক্স কমিটি এখনও কোনও শাস্তি ঘোষণা করেনি।
আরও পড়ুন: ক্যামডেন দুর্গোৎসব বাঙালিদের হাত ধরে মেতে উঠেছে, রিভার কার্নিভাল বিশেষ আকর্ষণ
আর কী বলেছেন শুভেন্দু? লখনউ সমাজবাদী পার্টি অফিসের সামনে পোস্টার পড়েছে। সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে, ভবিষ্যতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অখিলেশ যাদবকে দেখতে চাই। এই পোস্টার কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওঁরা ভারতকে ২৬ খণ্ড করতে চায়। ওঁদের ২৬ জন প্রধানমন্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাদের একজনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’ সম্প্রতি অর্থ–উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলা নিয়ে নদিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদীয় প্যানেলের তদন্ত শেষ হলে তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দলের পক্ষ থেকে।’