বাবুল সুপ্রিয় চ্যাপ্টার কিছুতেই ক্লোজ হচ্ছে না। তিনি নিজেই রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ফেসবুক পোস্ট করে। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বললেও সে রাস্তায় হাঁটেননি। পরে বললেন সাংসদ থাকলেও রাজনীতিতে আর থাকছেন না। কিন্তু মুখে বললেও কাজে কী তা করলেন? উঠেছে প্রশ্ন। কারণ তাঁর সাম্প্রতিক একটি ফেসবুক পোস্ট। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের কটাক্ষ, রাজনীতি ছাড়ার কথা বললেও আসলে রাজনীতি ছাড়তে পারছেন না বাবুল। বাবুলের অবশ্য দাবি, কোনও রাজনৈতিক আক্রমণের পালটা জবাব তিনি দেবেন না। বিবৃতির লড়াইয়ে থাকবেন না।
ঠিক কী ঘটেছে? ফেসবুক পোস্টে বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকল্প ন্যাশানাল আর্বান হেলথ মিশন থেকে টাকা দেওয়া সত্ত্বেও আসানসোলের সাতটি আর্বান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার চালু করেনি আসানসোল পুরসভা। করোনার আবহে এই উদাসীনতা অপরাধের সমতুল্য। জিতেন্দ্র তিওয়ারি, যিনি বহুদিন আসানসোলের মেয়র ছিলেন, ওঁনাকে ধন্যবাদ জানাবো এই বিষয়টি আমাকে জানানোর জন্য। আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি। উনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু বাস্তব ব্যাপারটা হল, রাজ্য সরকার ও পুরসভা এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি চালু করার ব্যাপারে সদিচ্ছা না দেখালে কিছুই হবে না।’
বাবুলের এই ফেসবুক পোস্ট নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘রাজনৈতিক আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণে যেতে চাইছি না। তাই বিবৃতির পালটা বিবৃতি দেব না। আমি প্রত্যেককে আলাদা করে বোঝাতে যাব না আমার কথা।’ তবে বাবুল জানান, সাংসদ হিসেবে নিজের কর্তব্যে অবিচল থাকবেন তিনি। এটা কী রাজনীতি থেকে সরে যাওযা হলো? ফের উঠেছে প্রশ্ন। আর আসানসোল পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, শীঘ্রই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি চালু করা হবে।