কালনার প্রফেসর কলোনিতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকার রহস্যমৃত্যুতে আতসকাচের নীচে তাঁর ছেলে। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই শিক্ষিকার দেহ উদ্ধার হয়। ছেলের দাবি, পারিবারিক কলহে আত্মঘাতী হয়েছেন মা। তবে সন্দেহ দানা বেঁধেছে ছেলের গতিবিধিতে।
ছেলে সম্ভ্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, পড়াশুনো নিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রায় রোজই ঝগড়া হতো মার। মঙ্গলবারও তাঁর সঙ্গে ঝগড়ার পর নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন মা। তার পর গোটা দিন কাটলেও ঘর থেকে বেরোননি। বুধবার সকালেও মা দরজা না খোলায় কলকাতায় মামাবাড়ি চলে যান ওই যুবক। মামাদের সঙ্গে নিয়ে ফেরেন কালনায়। এর পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কালনা থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে সুন্দাদেবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
ঘটনায় মৃতের ছেলের ভূমিকায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, মঙ্গলবার সারা রাত মায়ের খোঁজ কেন নেননি তিনি। একই বাড়িতে থেকে কেন সেকথা জানাননি প্রতিবেশীদের? বুধবার সকালেও কেন পুলিশকে কিছু না জানিয়ে মামাবাড়ি চলে গেলেন তিনি?
মনোবিদরা বলছেন, সম্পর্কের তিক্ততা কখনও এমন জায়গায় পৌঁছয় যে প্রিয়জনের কুশলের থেকে নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কারও কারও কাছে। তেমনই একটি নির্মম নজির হয়ে রইল কালনার এই ঘটনা।