উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি মিঠুন ঘোষ (৩৫)। রবিবার রাতে বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে তাঁকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে নিহত যুব মোর্চা নেতার পরিবার।
মৃতের বাবা জানিয়েছেন, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে ঢোকেন মিঠুন। এর পর তাঁকে ফোন করে ডাকে কেউ। বাড়ির কাছেই এক যুবকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এরই মধ্যে গুলির আওয়াজ শোনা যায়। বাড়ির লোকেরা ছুটে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মিঠুন। তাঁকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এর আগেও মিঠুন ঘোষের ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবার। একবার তাঁর পায়ে গুলি লাগে। মৃতের বাবা জানিয়েছেন, ছেলেকে শাসাত তৃণমূলের গুন্ডারা। বলত, এবার তোর পালা। তৃণমূল নেতা কাশেম বলেছিল, ছেলের একটা হাড়ও পাবেন না।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ সরকার বলেন, ‘প্রাণসংশয় জেনেও দলের হয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল মিঠুন। এর আগেও ওকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু সেবার গুলি লাগে পায়ে। কাশেম আলি ও তৃণমূলের গুন্ডারা ওকে ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে।’ এই ঘটনায় তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনো মেলেনি।