বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যে তালিকায় রয়েছে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, জব কার্ড প্রভৃতি। এবার মিড ডে মিলে দুর্নীতি রুখতে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। মিড ডে মিলে প্রায়ই নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ থেকে শুরু করে বেশি সংখ্যক ছাত্র দেখিয়ে খরচ বেশি দেখানোর অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রক সম্প্রতি বৈঠক করেছে। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে পিএম পোষণ যোজনায় অর্থাৎ মিড-ডে মিলে কেন্দ্রের তরফে নজরদারি চালানো হবে। এরজন্য কেন্দ্রীয় অফিসার, বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাঁরা দেশ জুড়ে এই প্রকল্প খতিয়ে দেখবেন।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার জানান, দেশের ১২ কোটি পড়ুয়া এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। কোনও রকমের দুর্নীতি যাতে না হয় সেই কারণে এই পদক্ষেপ। তবে মিড ডে মিলে দুর্নীতি রয়েছে কিনা সে বিষয়ে অবশ্য কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতায় সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের তরফে মিড ডে মিলের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয় তাতে পড়ুয়াদের মুখে সিদ্ধ ডিম তুলে দেওয়া বা খাবারের গুণগতমান ভালো করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। এ বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, মিড ডে মিলে কেন্দ্রের তরফে যে বরাদ্দ করা হয় তাতে পড়ুয়াদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ায় বড় চ্যালেঞ্জ।
উল্লেখ্য, মিড ডে মিলে প্রতি পড়ুয়া পিছু ৫ টাকা ৪৫ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ৮ টাকা ১৭ পয়সা বরাদ্দ রয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র এবং বাকি ৪০ শতাংশ রাজ্য বরাদ্দ করে থাকে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কেন্দ্র এ নিয়ে কাজ শুরু করলেন দুর্নীতি সামনে আসবে।’ অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র বেশি বেশি টার্গেট করছে বলে পাল্টা আক্রমণ করেছেন। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়েছেন বিভিন্ন স্কুলের কর্তৃপক্ষও। তাঁদের বক্তব্য, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পোর্টালে তাঁদের মিড ডে মিলের যাবতীয় তথ্য আপডেট করতে হয়। তারপরে আবার কেন্দ্রের নজরদারি হলে তাঁদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হবে না। এসব নিয়েই তাদের ব্যস্ত থাকতে হবে।