ব্যারাকপুরের কালিয়া নিবাসে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণের কথা ভাবা হলেও সে তথ্য হাতে আসেনি তদন্তকারীদের। কারণ সিলিন্ডারগুলি অক্ষতই ছিল। এই ঘটনায় ফরেনসিক দলও এখানে এসেছে। এবার সেই বিস্ফোরণ–কাণ্ডের তদন্তে নামল সিআইডি। ইতিমধ্যেই এই বাড়ি থেকে দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের আদি বাড়ি হায়দরাবাদে। এখানে ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সিআইডি সূত্রে খবর, ওই দম্পতির ঘর থেকে ইথার, অ্যালকোহল উদ্ধার হয়েছে। এমনকী প্রচুর পরিমাণে পচা আপেলও। গতকাল বিস্ফোরণের পর এনআইএ’ও খোঁজখবর করেছিল।
জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুরের কালিয়া নিবাস এলাকার জে আর আর রোডের দোতলা বাড়িতেই ঘটেছিল বিস্ফোরণ। কোনও অন্যান্য জায়গায় নয়। এই এলাকাটি টিটাগড় থানার অধীন। এখানের একতলায় তিন বছর ভাড়া রয়েছেন ইশাইয়া ফেনিহাস নামে এক ব্যক্তি। তাঁর পাশের ঘরে যাঁরা ভাড়া থাকতেন সেখানেই ঘটেছে বিস্ফোরণ। গ্রেফতার হওয়া কেউই এখনও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, জেরায় এষা গিডলা স্বীকার করেছেন তাঁরা স্বামী–স্ত্রী মিলে মাদক সেবন করতেন। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির মশলা। আপেল পচিয়ে ইথার ও অ্যালকোহলোর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে গিয়েই বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে। গেটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
যে ঘরে বিস্ফোরণ হয়েছিল সেখানে থাকতেন রাজ মল্লিক ও এষা গিডলা। আসলে তাঁরা কিসের পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন, কেন এমন রাসায়নিক ব্যবহার করছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাড়ির কেয়ারটেকারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই বিষয়ে ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) আশিস মৌর্য বলেন, ‘ওই বাড়িতে কিভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে কারণ জানা যাবে। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’