মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের পর পুরুলিয়ার সাধারণ সম্পাদক সাসপেন্ড হলেন। মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতিকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়কে সাসপেন্ড করল দল। পুজোর সময় থেকেই ‘আমরা দাদার অনুগামী’ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন গৌতম। পাশাপাশি তাঁর জগদ্ধাত্রী পুজোতেও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন। মেদিনীপুরের ক্ষেত্রেও অভিযোগ একই। সুতরাং এক যাত্রায় পৃথক ফল করেননি তৃণমূলনেত্রী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
জানা গিয়েছে, গৌতম বরাবর শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পুরুলিয়া জেলায় পরিচিত। গত রবিবার তিনি সারা রাজ্যের মধ্যে প্রথম ‘দাদার অনুগামী’ কার্যালয় খোলেন পুরুলিয়া শহরে। এমনকী ওই কার্যালয় খুলে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরবও হন। তারপরেই দাদার অনুগামীর উপর শাস্তি নেমে এসেছে 'দিদি'-র।
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা–সংস্কৃতি–তথ্য–ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান এই সিদ্ধান্তের কথা। সেখানে ছিলেন দলের জেলা মুখপাত্র নবেন্দু মাহালী। গুরুপদবাবু বলেন, ‘রাজ্য তৃণমূলের নির্দেশ অনুযায়ী পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়কে ছ'বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হল। তিনি দলীয় শৃঙ্খলা মানেননি। দলবিরোধী কাজে যুক্ত ছিলেন।’
পালটা গৌতম রায় জানান, তিনি দুপুরেই পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করে সেই চিঠি রাজ্য তৃণমূলের কাছে পাঠিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘দলে কাজ করার কোনও পরিবেশ না থাকার কারণেই তিনি জেলা সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’