বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এনিয়ে লাগাতার কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব। কিন্তু, তাতেও কাজ হচ্ছে না। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না পেয়ে রাজ্যের কীভাবে সমস্যা হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, যেভাবে সংসার চালানো হয় সেভাবেই তিনি সরকার চালান।
আরও পড়ুন: যোগ্যশ্রী প্রকল্পে এবার সুযোগ পাবেন সাধারণ পড়ুয়ারাও, মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার মা ও বোনেরা যেভাবে তাদের সংসার চালান আমিও সেভাবেই রাজ্য চালাই। মায়েরা কয়েকদিন আলুর তরকারি দিয়ে ভাত করেন আবার কিছু দিন মাছ ভাতের ব্যবস্থা করে থাকেন। যেদিন বাজেট কম থাকে তারা পাড়ার মুদি দোকানের কাছ থেকে ধার করে সামগ্রী কেনেন এবং পরের মাসে তা শোধ করেন।’ এরপরেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন যে আমাকেও বাংলার সরকার চালাতে হবে। যখন আমার বৈধ পাওনা আমাকে দেওয়া হয় না যখন বাধা দেওয়া হয়, মহিলারা যেভাবে ঘর চালায়, আমিও সেইভাবে (রাজ্য) চালাই। আমি বিশ্বাস করি কাউকে বঞ্চিত হতে দেওয়া যাবে না। আমি সর্বদা বঞ্চনা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করি এবং মানবতার জন্য লড়াই করি। আমি লড়াই করে জন্মেছি এবং আমি লড়াই করেই মরব।’
এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আরও ৯০ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছেন। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৩ কোটিতে ছুঁয়েছে। এছাড়াও তিনি জানান, আরও ১০ লক্ষ প্রবীণ নাগরিকদের ভাতা দেওয়া হবে। প্রায় ১.৪ লক্ষ মহিলা বিধবা ভাতা পাবেন। আরও ১০ লক্ষ মেয়ে কন্যাশ্রী সুবিধা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কেন্দ্রের কাছে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছিলেন ২১ লক্ষ শ্রমিক যারা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হয়েছে তারা তাদের রাজ্য সরকার বকেয়া মেটাবে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।