বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের যে জোট হচ্ছে না সেটা এখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী নিশ্চিত। পরে পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে দেখা যাবে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম এবং কংগ্রেসের কথা একটাই—বিজেপিকে পরাজিত করতে হবে। জাতীয় স্তরে জোট হলেও এখানে তা দেখা যাচ্ছে না। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা করতে এসে বাংলায় প্রত্যেক পদে পদে ধাক্কা খেতে হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট না হওয়ার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন। তবে ঐক্যের বার্তা দিয়ে চলেছেন রাহুল গান্ধী। এই আবহে নিজেদের মেলে ধরতে ন্যায় যাত্রায় ছুটে গিয়েছেন সিপিএম নেতারা। তবে রাহুল গান্ধীর প্রশ্নে মুখে পড়তে হল তাঁদের।
এদিকে জেলা সফরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএম ও কংগ্রেসকে তুলোধনা করছেন। এই আবহে আবার দেখা গেল, সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিনিময় করছেন ওয়াইনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ। মালদায় রাহুল গান্ধী বাসে তুলে নেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষকে। সেখানেই দীর্ঘ আলোচনা হয় দু’জনের। এছাড়া জঙ্গিপুরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা হয়েছে রাহুল গান্ধীর। কিন্তু এত কিছুর পরও রাহুলের প্রশ্নের মুখোমুখি হন সিপিএম নেতারা।
অন্যদিকে সিপিএমের নেতাদের কাছে পেয়ে রাহুল গান্ধী প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। বাংলায় বিজেপি কেন এত বাড়ল? এই প্রশ্ন করেছেন রাহুল গান্ধী বলে সূত্রের খবর। আর তাতেই নিজেদের অক্ষমতা চেপে রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর দায় চাপিয়েছেন সিপিএম নেতারা। রাহুল গান্ধীর প্রশ্ন, বাংলায় ৩৪ বছর বাম শাসন ছিল। তখন বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের বিরোধ ছিল। কিন্তু তার পরেও বাংলায় বিজেপি এত বাড়ল কী করে? শতরূপ ঘোষের ব্যাখ্যা, তখন আর এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকায় রাজ্যে আরএসএস দুশো নতুন স্কুল খুলেছিল। আর গত ১২ বছরে আরএসএসের স্কুল এবং প্রশিক্ষণ শিবির বেড়েছে প্রায় ১৪ হাজার।
আরও পড়ুন: এবার এআই’কে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে নজরদারি করা হবে, ভাবনা নির্বাচন কমিশনের
তবে সূত্রের খবর, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে দেখে ‘মাই ওল্ড ফ্রেন্ড’ বলে জড়িয়ে ধরেন রাহুল গান্ধী। মহম্মদ সেলিম জানান, তাঁরা ‘ন্যায় যাত্রা’র দাবির পক্ষে এবং অন্যায়ের বিপক্ষে। সুজন চক্রবর্তীর কথায়, বিজেপি শাসিত মণিপুর বা অসমে যা ঘটেছে সেটার কারণ বোঝা যায়। কিন্তু বাংলায় এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত। পরে মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘আরএসএসের মোকাবিলায় সারা দেশেই গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ তবে রামপুরহাটে ঘরোয়া আলাপচারিতায় রাহুল বলেছেন, এই রাজ্যে যে সাড়া তাঁর যাত্রায় মিলেছে তাতে তিনি খুবই খুশি।