পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বাদ গেল না মুর্শিদাবাদ পুরসভাও। সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল দলেরই একাংশ। এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদে রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, অনস্থা আনা সদস্যদের বিরুদ্ধে দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালবাগের মহকুমা শাসক সুদীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছে।
মুর্শিদাবাদ পুরসভায় ১৬ টি আসন রয়েছে। গত পুরসভা নির্বাচনে মোট ৯ টি আসনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং ৬ টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। এছাড়া নির্দল থেকে একজন প্রার্থী জয়ী হয়েছিল। তিনি অবশ্যই তৃণমূলকে সমর্থন জানান। সেখানে জয়ী হয়ে স্বাভাবিকভাবেই বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বোর্ড গঠনের কয়েকদিনের মধ্যেই বিজেপির তিন কাউন্সিলর তৃণমূল যোগ দেন। তাঁরা হলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাঁওলি দত্ত হালদার, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিউটন রায় এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ মণ্ডল। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান হন ললিতা দাস নন্দী এবং ভাইস চেয়ারম্যান হন নবাব পরিবারের সদস্য মেহেদী আলম মির্জা।
জানা গিয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাবে ৯ জন কাউন্সিলরের সই রয়েছে। তাতে নাম রয়েছে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া তিন কাউন্সিলর সহ অন্যান্যদের। প্রসঙ্গত, ইদানিং মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বেড়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। গত শুক্রবার মুর্শিদাবাদের সালারে তৃণমূলের দু গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সেখানে ব্লক অফিসে সর্বদলীয় শান্তি বৈঠক ছিল। অভিযোগ সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই সালার বাস স্ট্যান্ডের কাছে যুব তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ভরতপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের আনুগামীদের উপর হামলা করে বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের অনুগামীরা। লাঠি , বাঁশ প্রভৃতি দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। দুপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।