রাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত অবস্থায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। বৃহস্পতিবার নবান্নে একথা জানালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: সোমবার থেকে রাজ্যের এই জেলাগুলিতে শর্তসাপেক্ষে খুলবে দোকান, চলবে বাস
তিনি জানান, স্বাস্থ্য দফতর যে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে, তা দ্বিতীয় রিপোর্ট পেশ করেছে। ১০৫ টি মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখেছে কমিটি। মুখ্যসচিব বলেন, 'করোনার জেরে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। কো-মর্বিডিটির (একাধিক রোগে ভুগছিলেন) কারণে বাকি ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইনসিডেন্টালি (ঘটনাচক্রে) তাঁরা করোনাভাইরাস পজিটিভ ছিলেন।' অর্থাৎ করোনাভাইরাস পজিটিভ থাকা অবস্থায় অন্য কারণে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। আর করোনার কারণে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন : দিল্লি পুনর্গঠনের ‘সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রোজেক্ট’-এ স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট
পাশাপাশি, কী কারণে অডিট কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দেন মুখ্যসচিব। তিনি জানান, করোনা (Covid-১৯) একটি নতুন রোগ। সেজন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কীভাবে রোগ ছড়াচ্ছে, কীভাবে মানবদেহে প্রভাব ফেলছে, কীভাবে চরিত্র পরিবর্তন করছে, তা বিস্তারিতভাবে জানার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে সেই কমিটি ডেথ সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখছে না। তারা শুধু ডেথ কেস অডিট করছে।
আরও পড়ুন : Covid-19 Updates: করোনা যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় ৩০ লাখ ডলার অনুদান আমেরিকার
বিশেষজ্ঞ কমিটি অবশ্য ডেথ সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করতে বলেছেন বলে জানান মুখ্যসচিব। সেগুলি হল -মৃত্যুর তাৎক্ষণিক কারণ কী, যে অবস্থার কারণে কারোর মৃত্যু হয়েছে এবং যে রোগ বা আঘাতের কারণে মরবিড কন্ডিশন শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি, প্রত্যেক রোগীর আগের অসুস্থতা, চিকিৎসা, পরীক্ষা সংক্রান্ত নথি রাখার উপর কমিটি জোর দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।