স্বস্তি ফিরছে। আরও কমল করোনার দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজারেরও নীচে এসে ঠেকেছে। গত ১৭ এপ্রিলের পর এই প্রথম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮,০০০-এর নীচে থাকল। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এদিন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯১৩। সেক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪,১১,৪৪৮।
এদিন হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬,৫৫৭ জন। গত কয়েক দিন ধরেই করোনার সংক্রমণের গ্রাফ হু হু করে নামতে শুরু করেছে। হাসপাতাল-সেফহোমগুলো এখন প্রায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। তবে সংক্রমণের হার কমায় চিকিৎসকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিন ঠিকই, তবে আরেক দিক থেকে তাঁদের চিন্তায় রেখেছে মৃত্যুর হার। কারণ, মৃত্যুর সংখ্যা এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ১৬ হাজারেরও বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা হল ১৬,১৪৭। এদিন কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। এদিনের কলকাতায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৮৮৯। এখনও পর্যন্ত করোনায় কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৪৫৭৬ জন। করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ২,৪২,৯৬২ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫,৩৩১। এদিন কলকাতায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ৩,৬৮৮ জন। এদিন পর্যন্ত কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭,২৩,৯৭ জন।
এদিন বাংলায় ৭,৯১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় ১৬৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার করোনার গ্রাফ নিম্নমুখি। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ৪০৫২। এখনও পর্যন্ত অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪,২৬৬ জন। এদিন রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ২০৬ জনের।
এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক জেলাগুলোয় করোনা সংক্রমণ কি অবস্থা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ারে ৬৭ জন, কোচবিহারে ৩০৩ জন, দার্জিলিংয়ে ৭০৪০ জন, কালিম্পঙে ৪৫ জন, জলপাইগুড়িতে ৫১৮ জন, উত্তর দিনাজপুরে ২৮৩ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরে ২৪৩ জন, মালদহে ১৫৭ জন, মুর্শিদাবাদে ৩১৫ জন, নদিয়ায় ১০৯১ জন, বীরভূমে ৩৭১ জন, পুরুলিয়ায় ১৩৬ জন, বাঁকুড়ায় ৭০৫ জন, ঝাড়গ্রামে ১৭০ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭৭৮ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৯৭২ জন, পূর্ব বর্ধমানে ৬২২ জন ও পশ্চিম বর্ধমানে ৭৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।