রাজনীতির ময়দানে তাঁরা যুযুধান প্রতিপক্ষ। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই এখন থেকেই জনসংযোগ শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দলই। তবে এই পরিস্থিতিতে দেখা গেল সৌজন্যের রাজনীতি। সরাসরি তৃণমূল নেত্রীর দুয়ারে গিয়ে চাঁদা চাইলেন প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ জিতেন দাস। আর বাম নেতাদের চাঁদার কৌটো নিয়ে বাড়ির সামনে দেখে তাঁদের চাঁদা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীও। আর এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে সৌজন্যের রাজনীতি দেখল জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? এখন দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছে সিপিআইএম। এখন থেকেই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বাম নেতারা। চাইছেন ভোট। একইসঙ্গে চাইছেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অর্থও। গ্রামগঞ্জে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে নিজেদের কথা তুলে ধরছেন বাম নেতারা। আর এই কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে আর্থিক সাহায্য চাইছেন তাঁরা। যদিও এখন ডিজিটাল মাধ্যমে কিউ আর কোড চালু করেও অর্থ সংগ্রহে নেমেছে সিপিআইএম।
ঠিক কী ঘটেছে জলপাইগুড়িতে? বুধবার এই কর্মসূচি চলছিল জলপাইগুড়িতে। তখনই জলপাইগুড়ির পাতকাটা এলাকায় আসেন সিপিআইএমের প্রাক্তন সাংসদ তথা কৃষক নেতা জিতেন দাস। তিনি চাঁদা সংগ্রহ করতে চলে যান তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিতা রাউতের বাড়িতে। সেখানে সিপিআইএম নেতাদের আসতে দেখে ফিরিয়ে দেননি অনিতা দেবী। বরং তাঁদের চাঁদার বাক্সে আর্থিক সাহায্য করেন তিনি। এই ঘটনা দেখে আপ্লুত জলপাইগুড়ির বাসিন্দারাও।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেত্রী? সিপিআইএম নেতাদের চাঁদা দেওয়ার বিষয়ে অনিতা রাউত বলেন, ‘ওঁরা আমার বাড়ি এসে লিফলেট দিয়ে আর্থিক সাহায্য চাইলেন। তাই আমিও সাধ্যমতো সাহায্য করলাম।’ আর চাঁদা পেয়ে সিপিআইএমের প্রাক্তন সাংসদ জিতেন দাস বলেন, ‘আমরা সাংগঠনিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য গণ সাহায্য সংগ্রহ করছি। সবার বাড়িতে যাচ্ছি। তাই অনিতা দেবীর বাড়িতেও গিয়েছিলাম। জানতাম না উনি পঞ্চায়েত প্রধান। কিন্তু উনি হাসিমুখে আমাদের আর্থিক সাহায্য করেছেন।’