রিঙ্কু নস্করের পর ফের সিপিএমের ঘরে হানা দিল বিজেপি। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দলবদলের ইঙ্গিত দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, সিপিএমে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না তিনি। তাই স্বামীর পাশে থেকে রাজনীতি করতে চান। ইতিমধ্যে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তাপসীদেবীর স্বামী অর্জুন মণ্ডল।
গত ১৭ নভেম্বর বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিএমের যুবনেত্রী রিঙ্কু নস্কর। গত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন তিনি। তার পর মাস ঘুরতে না ঘুরতে আরেক সিপিএম নেত্রী বিজেপির পথে। শুক্রবার দলত্যাগের ইঙ্গিত দিলেন হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, ব্যক্তিগত স্বার্থে দল পরিচালনা করছেন পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএম জেলা সম্পাদক। যার ফলে মানুষের কাজ করা যাচ্ছে না।
কিছুদিন আগেই সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তাপসীদেবীর স্বামী অর্জুন মণ্ডল। তার পর থেকেই তাঁর দলবদল নিয়ে জল্পনা চলছিল। এদিন সংবাদমাধ্যমকে তাপসীদেবী বলেন, ‘আমি স্বাধীনভাবে মানুষের কাজ করতে পারছি না। মানুষের কাজ করতে চাই আমি’।
স্বামীর পাশেই রয়েছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এই ভাবে বিশ্বাসী নই যে বাড়ির লোক একটা রাজনীতি করবে আমি একটা রাজনীতি করবো। তাতে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা কমবে। বাড়ির মানুষের পাশেই থাকা উচিত, একসঙ্গে কাজ করা উচিত’।
তাপসী মণ্ডলের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার সঙ্গে সাত – দশ দিন আগে শেষবার কথা হয়েছে। তখনও জানিয়েছিল ও দল ছাড়ছে না। এর মধ্যে কী এমন হল জানি না। এরকম করলে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে না। যেমন যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাচ্ছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে না। বিজেপি হয়ে গেছে প্রাক্তন তৃণমূলিদের দল। তার মধ্যে এক আধ পিস ঢুকে পড়বে যদি ইচ্ছা হয়’।
সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘সিপিএমে থেকে কাজ করার যে ধক লাগে সবার সেটা থাকে না। বোঝা গেল ওর সেই ধক নেই’।
পালটা বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘সারা পশ্চিমবঙ্গের জনমানসের ভাবনা প্রতিফলন ঘটেছে তাঁর বক্তব্যে। তৃণমূলের অনেকে মনে করছেন আদর্শ নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে বিজেপিতে যেতে হবে। এতে অনেকের রাগ হতে পারে’।