তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে দীর্ঘদিন পরে পাহাড়ে ফিরেছিলেন বিমল গুরুং। এবার সেই পাহাড়েই জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আর তারই বিরোধিতা করে পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবিতে অনশনে বসেছেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। তবে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরাতেও চাইছেন না তিনি। সব মিলিয়ে পাহাড়ের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। এদিকে গুরুংয়ের অবস্থানকে ঘিরে সতর্কভাবে পা ফেলেও সামান্য খোঁচাও দিলেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব।অন্যদিকে গুরুংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছে বিজেপি।
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেব বলেন, একটা কথাই বলতে চাই, দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে। পাহাড়ের মানুষ শান্তি চান। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের কাজ করছেন পাহাড়ে। জিটিএ একটা বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা। মানুষ জিটিএ নির্বাচন চেয়েছে। বিমল গুরুং একটা আলাদা রাজনৈতিক দল। তিনি কেন অনশন করছেন, কেন জিটিএ নির্বাচন চাইছেন না তা তিনিই বলতে পারবেন। তবে পায়ের তলায় মাটি নেই, একটাও লোক নেই, প্রার্থী পাবে না সেজন্য এসব। তবে এনিয়ে কিছু বলতে পারব না।
শিলিগুড়ির সিপিএম নেতা জীবেশ সরকার বলেন, বিমল গুরুং একেক সময় একেক রকম অবস্থান নিচ্ছেন। কখনও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা বলেছেন। কখনও আবার পাহাড়ের শত্রু বলেছেন।তবে আমরা মনে করি জিটিএ ব্যর্থ হয়েছে। জিটিএর তুলনায় দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল অনেক কার্যকরী ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চাননি দার্জিলিংয়ের সমস্যার সমাধান হোক।
এদিকে বিজেপির দাবি, পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে জিটিএ নির্বাচনের যোগ নেই। বিমল গুরুং অতীতে বিজেপির রাজনৈতিক অবস্থানকে সমর্থন করেছেন। তবে তাঁর এখন নিজস্ব অবস্থান রয়েছে।