হামরো পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। এক মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার উচ্চ আদালত অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি। এর ফলে বিরোধীরা পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারবে।
গত ২৪ নভেম্বর দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে অনিত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ৬ জন কাউন্সিলর বৈঠকে বসার জন্য একটি নোটিস দেয়। কিন্তু কোনও বৈঠক ডাকা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ১৩ ডিসেম্বর ভাইস চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আগামী বুধবার অনাস্থা নিয়ে প্রাথমিক বৈঠক করতে চেয়ে কয়েক জন কাউন্সিলর আলোচনায় বসেন। সেই সময় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আটকাতে হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চে যায় হামরো পার্টি। বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ হামরো এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারবেন কাউন্সিলররা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দার্জিলিং পুরসভার নির্বাচন হয়। পুরসভার মোট ৩২টি আসনের মধ্যে হামরো পায় ১৮টি আসন। অনীত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পায় ৮টি আসন। জিজেএমএম ৩টি এবং তৃণমূল ২টি আসনে জয়ী হয়। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করে হামরো পার্টি। তবে মাস পেরতেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। হামরো পার্টি থেকে ৬ জন কাউন্সিলর প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দেয়। এর ফল প্রজাতান্ত্রিক পার্টির কাউন্সিলর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় চোদ্দতে। তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই জানিয়েছে তারা বাইরে থেকে সমর্থন করবে এর ফলে পুরসভায় সদস্য সংখ্যা দাঁড়াবে ষোলোয়। অন্যদিকে হামরোর কাউন্সিলর সংখ্যা গিয়ে দাড়িয়েছে ১২তে। ফলে অনীতের দলের বোর্ড গঠন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।