গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনের নামে অতীতে মাসের পর মাস বনধ দেখেছে দার্জিলিং। মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের সেই আন্দোলনে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল পাহাড়। দিনের পর দিন ধরে পর্যটকরা পাহাড়মুখো হতে পারেননি। পর্যটনের উপর দাঁড়িয়ে থাকা দার্জিলিংয়ের বহু পরিবার চরম বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটিয়েছিলেন সেই সময়। আর দার্জিলিং পুরসভায় ক্ষমতায় এসেই হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড জানিয়ে দিলেন, ‘স্ট্রাইক মুক্ত জোন হবে দার্জিলিংয়ের ৩২টি ওয়ার্ড। এটাই বোর্ডের কাছে প্রথম কাজ।’ বাসিন্দাদের একাংশের মতে, অজয় নিজেও রেস্তরাঁর কর্তা। তিনি জানেন পাহাড়ে বনধ হলে ব্যবসা, জনজীবনের কী পরিস্থিতি হয়! তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন,'নেপালি ভাষা অফিসিয়াল ভাষা হবে পাহাড়ে। ইংরাজি ও নেপালিতে বোর্ড লেখা হবে।' তিনি বলেন, 'মানুষ পরিবর্তন চাইছিলেন। সেই অপশন তাঁরা পেয়েছেন। অপরিচ্ছন্নতা থেকে পরিবর্তন, দুর্নীতি থেকে পরিবর্তন। ভোটের আগে আমাদের কারোর সঙ্গে জোট ছিল না। ভোটের পরেও জোট করার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে আমরা সকলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব। দার্জিলিংয়ের প্রতি যে মায়া রয়েছে, যে প্রেম রয়েছে তা সকল রাজনৈতিক দলই মেনে নেবেন। এনিয়ে আশা করছি কোনও মত পার্থক্য হবে না।'
মাস তিনেক আগে তৈরি হয়েছিল হামরো পার্টি। আর সেই পার্টিই দার্জিলিং পুরভোটে বাজিমাত করেছে। সেই জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে এদিন পাহাড়ে বিজয় মিছিল বের হয়। আর সেই মিছিলের সুশৃঙ্খলিত ছবি জানিয়ে দিল পর্যটন বান্ধব এক অন্য দার্জিলিং গড়ার স্বপ্নে বুকে বেঁধেছেন অজয় এডওয়ার্ড।