বাড়ির ছাদে রাখা জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার সদ্যোজাতের দেহ। হাড়হিম করা ঘটনা হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায়। স্থানীয় সূত্রের খবর এদিন সকালে বাড়ির কলের জল লাল হয়ে গিয়েছিল। দুর্গন্ধও বের হচ্ছিল। এনিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপরই ট্যাঙ্কে খোঁজ করেন বাড়ির লোকজনই। তখনই দেখা যায় ট্যাঙ্কের মধ্যে রয়েছে শিশুর দেহ। কিন্তু কীভাবে ট্যাঙ্কের মধ্যে শিশুর দেহ গেল? কারা খুন করল শিশুটিকে?
সোমবার হাসপাতালে ওই শিশুপুত্রের জন্ম হয়েছিল। বুধবার শিশুকে নিয়ে মা বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার থেকে তিনি শিশুর খোঁজ পাচ্ছিলেন না। অভিযোগ ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর তারপর থেকেই শিশুর খোঁজ মিলছিল না। পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে। কিন্তু কোনওভাবেই শিশুর খোঁজ মিলছিল না। পরে এদিন উদ্ধার হল শিশুর দেহ। ইতিমধ্যেই শিশুর জেঠিমা সহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সম্ভবত পারিবারিক অশান্তির জেরেই এভাবে শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। সম্ভবত শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুন করে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ শিশুর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া থানার পুলিশ।
শিশুর মা বলেন, বাচ্চাকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। ট্যাঙ্ক থেকে মিলেছে শিশুর দেহ। এই ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি চাইছি।