রাতারাতি অবস্থান বদল। যে মোড়লরা কয়লাখনি চাইনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এখন তাঁরাই অবস্থান বদলে বলছেন, আমরা শিল্পের পক্ষে। জমি দিতে যাঁরা রাজি ছিলেন না এখন তাঁরাই তাতে রাজি হয়েছেন। ঘটনাস্থল বীরভূমের দেউচা পাচামি। এখানেই মোড়লরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গতদিন তাঁরা কয়লা খনির পক্ষে নন। জমি দেবেন না। আর এখন সুর বদল করলেন আদিবাসীদের মুখ হিসেবে পরিচিত, তরুণ মাঝি হাড়াম (মোড়ল) যোশেফ মারান্ডি।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘হরিণশিঙায় বৃহস্পতিবার মাঝি বাবাদের পক্ষ থেকে একটি সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে বিভ্রান্তিমূলক বাক্য উচ্চারিত হয়েছে। সেটা শোধরাতে চাই। আমরা শিল্পের পক্ষে। তবে সেটা অবশ্যই আদিবাসীদের স্বার্থরক্ষা করে হতে হবে। প্যাকেজে কিছু ত্রুটি রয়েছে। সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চাই।’ যদিও এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
এই প্রকল্প নিয়ে কিছুদিন আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সিঙ্গুরে যেভাবে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, আমরা সেভাবে জমি অধিগ্রহণ করব না। দেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্প হলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’ কিন্তু তার পর থেকেই এখানে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নেন মোড়লরা। তাঁরা ঘোষণা করেছিলেন বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যাচ্ছেন তাঁরা। সেখান থেকে এই অবস্থান বদল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই প্রস্তাবিত কয়লা খনি নিয়ে একটি বৈঠক হয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মোড়লদের (মাঝি হাড়াম)। সেখানেই এলাকাবাসীর মতামত শুনে ‘খনি চাই না’ বলে দাবি তোলেন যোশেফ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে আগে বলেছিলেন, শিল্পাঞ্চলে কাজ এবং কৃষি থেকে আয় নিয়েই তাঁরা খুশি। খনি কেউ চান না। কিন্তু এখন তিনি সুর বদলে ফেলেছেন। যোশেফ ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘যা বলেছি ভিডিও–তে সেটা ঠিক। তবে সেটা মানুষের নয়, শুধু আমার মত।’